বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা চ্যালেঞ্জিং উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বস্তুনিষ্ঠভাবে নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। তারা অতিরঞ্জিত সংবাদের ওপর ভিত্তি করে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আমাদের কোনো সংস্থা মানবাধিকার লঙ্ঘন করে না। করলে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা চ্যালেঞ্জিং। মাদক কারবারিরা নিজেদের রক্ষা করার জন্য আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে। দেশের প্রশিক্ষিত বাহিনী অভিযান চালালে তারা অস্ত্র ব্যবহার করায় গোলাগুলি ও হতাহতের ঘটনা ঘটে।
শনিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ঢাকা ওয়াসার বুড়িগঙ্গা হলে ‘আদর্শ গ্রাহক সম্মাননা স্মারক-২০২১’ বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সে প্রেক্ষিতে তিনি বলেন- আমাদের দেশে বন্দুকযুদ্ধের যতগুলো ঘটনা ঘটেছে সব ঘটনারই একটি জুডিশিয়াল ইনকোয়ারি হয়। যে ঘটনা ঘটলো তার পেছনে যথাযথ কারণ ছিল কিনা। না গাফিলতি ছিল। কোথাও গাফিলতি পেলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমেরিকান সরকার একটি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, এ প্রতিবেদনটি এখনো আমার টেবিলে আসেনি। এটা আমাকে দেখতে হবে, কেন এবং কি কারণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। না দেখে পুরো মন্তব্য করা সম্ভব নয়। এ সমস্ত ঘটনার পেছনে কোনো কারণ ছিল বলেই আমাদের কাছে প্রতীয়মান। এ সমস্ত ঘটনা শুধু আমাদের দেশেই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঘটছে।
তিনি আরও বলেন, আপনারা দেখেছেন কুমিল্লায় প্রকাশ্যে ৮-৯ জন সন্ত্রাসী যেভাবে বন্ধুক উঁচু করে গুলি করছিল। এদের কাছে গিয়ে নিরাপত্তা বাহিনী আসতে বললে তারা আবার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়। সন্ত্রাসীরা যখন আগ্নেয়াস্ত্র তাক করে, তখন আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা জীবন রক্ষার্থে গুলি করে থাকে। তখন সেটা তার জন্য বৈধ ছিল। আর সেটা যুক্তিসঙ্গত ছিল কিনা তার তদন্ত হচ্ছে।
এর আগে শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে বিভিন্ন দেশের ১৫ ব্যক্তি ও ১০ প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। নিষেধাজ্ঞার ওই তালিকায় বাংলাদেশের বিশেষ বাহিনী র্যাব ও এ বাহিনীর সাবেক-বর্তমান ছয় কর্মকর্তার নামও রয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ জিমি, সিটিজেন জার্নালিস্ট, সাতক্ষীরা।
Copyright © 2024 Update Satkhira. All rights reserved.