।।।।।।।।।।।
সিটিজেন জার্নালিস্ট(জিমি): কিছুু মানুষ উদার চিন্তা, তথ্য-উপাত্ত ও বিশ্লেষণী ক্ষমতা দিয়ে নিজেরাই হয়ে উঠেছেন বাতিঘর। অন্ধকারের ভেতর বাতিঘর যেমন দিকভ্রান্ত মানুষকে আলোর সন্ধান দেয় তেমনি তারাও পথ নির্দেশ করেন মানুষকে। সামনের দিকে নিয়ে যেতে ব্রতী হয় জাতিকে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব পরম শ্রদ্ধেয় Samad Faruq মহোদয় তেমনি একজন অন্ধকারের বাতিঘর।
তিনি সবসময়ই স্বপ্নবান মানুষের প্রতীক। তিনি সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেন। তিনি তাঁর স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে কাজ করে চলেছেন নিরন্তর।
মুক্তচিন্তা এবং প্রাগ্রসর ভাবনায় এখনও যে কোন তরুণের চেয়ে অনেক বেশি স্বতঃস্ফূর্ত। ক্রিয়াশীল। প্রাণবন্ত।
খুলনা বিভাগের কমিশনার হিসেবে দায়িত্বে থাকাকালীন মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে তিনি খুলনা বিভাগকে বাংলাদেশের অপরাপর বিভাগ থেকে ভিন্ন রূপে সজ্জিত করেন। খুলনা বিভাগকে শুধু বাংলাদেশের নিকট নয় বিশ্ব দরবারেও খুলনা বিভাগকে অপার বিস্ময় হিসেবে পরিচিত করেছেন।
খুলনা বিভাগের কমিশনার হিসেবে তিনি নিম্নোক্ত ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেন।
১। ১১৪৪ টি উদ্ভাবন প্রকল্প।
২। শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবকদের দু’বার বিভাগীয় কমিশনার স্বর্ণ, রৌপ্য ও তাম্রপদক প্রদান ও অন্যান্য সম্মাননা প্রদান।
৩। Administrative Convention Center নির্মাণের DPP অনুমোদন চূড়ান্ত পর্যায়।
৪। বিভাগীয় কমিশনারের নতুন অফিসভবন নির্মাণের DPP দাখিল পরিকল্পনা কমিশনে। অফিসের নান্দনিক গেট নির্মাণ, অফিস কক্ষ সজ্জিতকরণ। বাংলোকে নতুনরূপে সাজানো।
৫। খুলনা বিভাগে ভিক্ষুকমুক্তকরণ, ভিক্ষুকদের কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসন।
৬। ২২ টি ইকোপার্ক স্থাপন। ১৫০ বিঘা জায়গায় খুলনার শেখ রাসেল ইকোপার্ক নির্মাণের কাজ শুরু।
৭। জৈব কৃষিকে উৎসাহদান। ফরমালীনমুক্ত আম উৎপাদন।
৮। Day Care Center স্থাপন। Brest Feeding Corner স্থাপন।
৯। ভূমি অফিসের Digitalization
১০। শিক্ষার উন্নয়ন, কোচিং বন্ধ, মিড ডে মিল চালু
১১। মোংলা ঘষিয়াখালী চ্যানেল খনন
১২। কপোতাক্ষ নদ আংশিক খনন, পাখিমারা বিলে টি আর এম
১৩। নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু অধিকার নিশ্চিতকরণ, বাল্য বিবাহ নিরোধ
১৪। সাহিত্য সংস্কৃতি চর্চা। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, লালন চর্চাকে বিকশিত করার অজস্র কর্মসূচী নেয়া হয়েছে।
১৫। ১০০% সততার সাথে কর্মচারী নিয়োগ।
১৬। ফেসবুকের মাধ্যমে নাগরিক সমস্যা প্রদানে উৎসাহদাতা ও সিটিজেন জার্নালিজম চর্চার অন্যতম পথিকৃত।
তিনি ছিলেন কাজে ও কর্মে একজন দক্ষ কর্মবীর ও গতিশীল নেতৃত্বে খুলনা বিভাগের সরকারি কর্মকর্তাগণ সর্বাধিক জনপ্রশাসন পদক লাভ করেন।
তিনি শুধু একজন সফল প্রশাসকই নন, একজন সফল সাহিত্যিক, কবি এবং গবেষকও বটে। জ্ঞানের প্রতিটি শাখায় তাঁর অবাধ বিচরণ। তাঁর সাহিত্য কর্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে 'জল জোছনায় নাজমুল' ও ' আলো আধাঁরের পথে'।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব হিসেবে যোগদান করেই তিনি সংস্কার কাজ শুরু করেন। তাঁর অসামান্য মেধাশক্তি, ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি, দক্ষ নেতৃত্বে অতি অল্প সময়ের ব্যবধানে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে এসেছে অভাবনীয় পরিবর্তন ও গতিশীলতা। নিঃসন্দেহে তিনি সরকারি কর্মকর্তাগণের নিকট আদর্শ।
এই মহান মানুষটিকে খুলনা বিভাগ জানায়, বিনম্র শ্রদ্ধা ও সশ্রদ্ধ কৃতজ্ঞতা। তাঁর কর্মমুখর জীবন কর্মগুণে আরও ঈর্ষণীয় হয়ে উঠুক এই প্রত্যাশা করে খুলনা বিভাগের সকল স্থরের মানুষ।
লেখকঃখাইরুল ইসলাম,সিটিজেন জার্নালিস্ট,কুষ্টিয়া।