তথ্য প্রদানের ক্ষেত্র অবারিত করতে হবে। তথ্যই শক্তি। প্রান্তিকজনের তথ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে তথ্য অধিকার আইন করা হয়েছে। তথ্যের প্রবাহ অবাধ করতে সকল প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট নির্মাণ ও নিয়মিত হালনাগাদ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমদ খুলনা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে তথ্য অধিকার আইন- ২০০৯ এর ওপর আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় আজ (মঙ্গলবার) সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
খুলনা বিভাগ তথ্য পুরস্কার অর্জন করায় সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধান তথ্য কমিশনার আরও বলেন, সরকার স্বপ্রণোদিত হয়ে তার নির্বাচনী ইশতেহার অনুসারে তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন করে। সরকারের ভিশন ২০২১ ও ২০৪১, পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মূল লক্ষ্য তৃণমূলের অবহেলিত মানুষের উন্নয়ন। এসডিজির মূল কথাই হলো সবাইকে উন্নয়নের ¯্রােতধারায় অন্তর্ভূক্ত করা। অবাধ তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করা তথ্য কমিশনের একার পক্ষে সম্ভব নয়। তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ, টেলিভিশন চ্যানেল, ইন্টারনেটের ফোর-জি এর যুগে ১৫ কোটি মানুষ মোবাইল ও আট কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। তথ্য ছড়িয়ে যাচ্ছে সব দিকে। সংবিধান অনুযায়ী দেশের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ। জনগণের চিন্তা, বিবেক ও বাক-স্বাধীনতা নিশ্চিতের অংশই হলো তথ্য অধিকার আইন। যা দেশের ১৬ কোটি মানুষের জন্য। প্রধান তথ্য কমিশনার সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাদের জনগণের কাছে গিয়ে এ বিষয়ে সবাইকে অবহিত করার অনুরোধ জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া, সাবেক সচিব মুুুহিবুল হোসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম বিপিএম, স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডাঃ রাশেদা সুলতানা, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক শরিফুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডাঃ এএসএম আব্দুর রাজ্জাক ও খুলনার পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ বিপিএম। খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত জানান অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) নিশ্চিন্ত কুমার পোদ্দার। অনুষ্ঠানে বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও সুশীল সামাজের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা তথ্য অধিকার আইনের ব্যাপক প্রচারনার দাবী জানান।