নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জে হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কারখানায় ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় কারো গাফিলতি থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেছেন, এ ঘটনায় কারো অবহেলা ও গাফিলতি রয়েছে কি না তদন্তে সব বেরিয়ে আসবে।
শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে ঘটনাস্থল কর্ণগোপ এলাকায় গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
র্যাব প্রধান বলেন, ‘এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর আলাদা আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তারা তদন্ত শুরু করেছে। তদন্ত শেষে তারা প্রতিবেদনে ঘটনার কারণ উল্লেখ করে জমা দেবে।’
এরপর সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি। র্যাব ডিজি বলেন, জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। তদন্তে জড়িতদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রূপগঞ্জ উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় খাবার প্রক্রিয়াজাত করার ওই কারখানায় আগুন লাগে। এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট আগুন নেভানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আগুন প্রায় নিয়ন্ত্রণে এলেও কারখানার ছয় তলায় আগুন এখনো নেভেনি। ইতোমধ্যে কারখানা থেকে ৫২ জনের মরদেহ উদ্ধার উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
৫২ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে শুক্রবার জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) দেবাশীষ বর্ধন।
তিনি ঢাকাটাইসমসকে, ‘শুক্রবার যেসব লাশ উদ্ধার হয়েছে তার প্রায় সবই এমনভাবে দগ্ধ যে সেগুলি আত্মীয়রা দেখে চিনতে পারছেন না। তাই এই মৃতদেহগুলি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে ডিএনএ টেস্টের জন্য। ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে এ লাশগুলি <নাক্ত করে আত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
তিনি জানান, শুক্রবার আগুন প্রাথমিকভাবে নিয়ন্ত্রণে আনার পরে নিচ তলা থেকে চতুর্থ তলা পর্যন্ত তল্লাশি করে ৪৯ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলার আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এনে পুরো ভবনটিতে আমরা পুনরায় তল্লাশি চালাবো। গতকাল মৃত্যু হয়েছিল তিনজনের।
জানা গেছে, এ কারখানার ভেতরে সেজান জুসের পাশাপাশি নুডুলস, লাচ্ছাসেমাই, চকলেট, লাচ্ছি, কেক বিস্কুটসহ বিভিন্ন পণ্য তৈরি ও প্যাকেটজাত করা হতো। এ ছাড়া ছয় তলা ভবনের প্রতিটি ফ্লোরে ছিল দাহ্য পদার্থ ও বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক পদার্থের মজুদ।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ জিমি, সিটিজেন জার্নালিস্ট, সাতক্ষীরা।
Copyright © 2024 Update Satkhira. All rights reserved.