অনলাইন পোর্টালগুলোর রেজিস্ট্রেশন হলে এই সেকশনে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, বিদ্যমান অনলাইনগুলো রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত আট হাজারেরও বেশি দরখাস্ত জমা পড়েছে। রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেলে এই সেকশনে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।
তিনি বলেন, আমরা এরইমধ্যে সব অনলাইনকে রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনার জন্য দরখাস্ত আহ্বান করেছি। আজকে শেষ দিন, আগেরগুলোসহ এ পর্যন্ত আমাদের কাছে সব মিলিয়ে আট হাজারের বেশি দরখাস্ত জমা পড়েছে। আট হাজার অনলাইন বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কতটুকু যৌক্তিক সে প্রসঙ্গটি অবশ্যই আসে।
‘আমরা এগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে, যেগুলোর আসলে প্রয়োজন আছে, সত্যিকার অর্থে কাজ করতে পারবে বা কাজ করার সামর্থ্য রাখে বা অন্যকোনো উদ্দেশ্যে দরখাস্ত করা হয়নি সেগুলোকে আমরা রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনবো। আমরা আশা করছি, যখন রেজিস্ট্রেশন হবে তখন সেখানে একটি শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হবে।’
সোমবার (১৫ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের চতুর্থ কার্য অধিবেশন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে কতোদিন সময় লাগবে, প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এটা একটু সময় লাগবে। আট হাজারতো, যাচাই-বাছাই করতে সময় লাগবে, যত দ্রুত সম্ভব চেষ্টা করা হবে। যেগুলো সত্যিকার অর্থে অনলাইন হিসাবে কাজ করে তাদেরকে সহসাই রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনবো। আর যেগুলোর ব্যাপারে ব্যাপক পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন আছে সেগুলোতো পরীক্ষা-নিরীক্ষায় যেতে হবে।
ডিসিদের সঙ্গে বৈঠকে নিউ মিডিয়ার চ্যালেঞ্জ আলোচনায় এসেছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ার যে চ্যালেঞ্জ সেটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এটি শুধু বাংলাদেশে চ্যালেঞ্জ নয়, পুরো পৃথিবীতে একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এটি ইউরোপ, নর্থ আমেরিকাসহ অন্যান্য দেশে চ্যালেঞ্জ। আমরা সেই চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলেছি, পৃথিবীতে এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লব চলছে।
জেলায় জেলায় তথ্য ভবন নির্মাণ এবং ভবনের সঙ্গে মিলনায়তন রাখার ডিসিদের দাবির বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এলক্ষ্যে আমরা ২৭ জেলায় কমপ্লেক্স নির্মাণের প্রকল্প নিয়েছি, আমরা সব জেলায় করতে চাই। এজন্য ডিসিদের সব জেলায় স্থান নির্বাচন করতে বলেছি।
ক্যাবল নেটওয়ার্ক পরিচালনার আইন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমরা কয়েক দিন আগ থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি। টেলিভিশন চ্যানেলের ক্রম নির্ধারণের ক্ষেত্রে আগে একটি বিশৃঙ্খলা ছিল। বাংলাদেশের চ্যানেলের মধ্যে হঠাৎ বিদেশি চ্যানেল ঢুকে যেতো। ক্যাবল নেটওয়ার্ক যারা পরিচালনা করেন তাদের সঙ্গে সম্পর্ক বা অন্যকোনো বিষয়ের আলোকে সেখানে সিরিয়াল নির্ধারণ করা হতো। এখন সেখানে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিদেশি চ্যানেলে বাংলাদেশি পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচারে আগেও জরিমানার নির্দেশনা ছিল, আজকেও দিয়েছি।
আইসিটি অ্যাক্ট নিয়ে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কিনা- প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক বলেন, আইসিটি অ্যাক্ট হচ্ছে একজন সাংবাদিক, একজন গৃহিনী, একজন দিনমজুর, সরকারি কিংবা বেসরকারি চাকরিজীবীর নিরাপত্তার জন্য। অর্থাৎ প্রত্যেকটি মানুষের ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য। এটি যাতে অপব্যবহার না হয় সেজন্য আমরা সেখানে আলোচনা করেছি।