তারিক ইসলাম: আনসার আল ইসলামের জঙ্গিরা বড় ধরনের নাশকতার উদ্দ্যেশ্যে একত্রিত হয়েছিল বলে দাবি করেছে পুলিশ। তারা পাহাড়ি এলাকায় কফিশপ দিয়ে এর আড়ালে এই পরিকল্পনা করেছিল বলে জানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

শুক্রবার বেলা ১১টায় রাজধানীর ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) প্রধান মনিরুল ইসলাম।

এর আগে পুলিশ নিষিদ্ধ এই জঙ্গি সংগঠনের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। তারা হলেন মোহাম্মদ শাহিন ওরফে ওমর, মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, মো. আনিসুজ্জামান ওরফে বিপ্লব ও মো. আল মামুন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় নাশকতার পরিকল্পনার বিষয়টি।

মনিরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা জানান, তারা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য। তারা সংগঠনের আদর্শ অনুসারে কথিত হিজরত করে দেশের বিভিন্ন জেলায় সদস্য সংগ্রহ করেন। পরে তারা সদস্যদের নিয়ে সুন্দরবন করমজল এলাকায় একটি প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে এক সপ্তাহের প্রশিক্ষণ নেন। পরবর্তী সময়ে তারা সেখানে থেকে বান্দরবানের আলীকদম এলাকায় প্রায় একমাস প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।

সন্দেহভাজন জঙ্গিরা আরও জানায়, পাহাড়ি এলাকায় প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করে তারা সংগঠনের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে ঢাকায় আসে। তারা নিরাপদে জঙ্গি কার্যক্রম চালানোর জন্য পাহাড়ি এলাকায় কফিশপ চালু করে। এই কফিশপের আড়ালে তারা নিরাপদে জঙ্গি কার্যক্রম চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছিল। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক মেসেঞ্জারে চ্যাট গ্রুপের মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করত। সেখানে বিভিন্ন ধরনের দিকনির্দেশনা দেওয়া হতো।

পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল জানান, জঙ্গিরা জননিরাপত্তা বিপন্ন করতে প্রজাতন্ত্রের সম্পত্তির ক্ষতির লক্ষ্যে নাশকতামূলক কার্যকলাপ চালাতে একত্রিত হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেজে বহিষ্কার হওয়া মেজর জিয়ার সর্বশেষ অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মেজর জিয়া বর্তমানে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় আছেন। এই সংগঠনের সঙ্গে তার কতটুকু যোগাযোগ রয়েছে বা তিনি কী অবস্থায় সেটা জানার চেষ্টা চলছে। এটা জানার জন্য আমরা এই গ্রুপের শায়েখকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি। তবে আমাদের ধারণা, সে এখন কিছুটা নিষ্ক্রিয়। কারণ সে যদি সক্রিয় থাকতো তাহলে আমাদের গোয়েন্দা ইন্টালেজিন্সিতে তার বিষয়ে তথ্য উঠে আসতো।’