♠♠♠♠
অনলাইন ডেস্ক:
সাতক্ষীরা আন্তঃজেলা মটর সাইকেল চোর সিন্ডিকেটের প্রধান ও শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলাম (৪৩) পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। সে শ্যামনগর উপজেলা সদরের বাদঘাটা গ্রামের আব্দুল মাজেদের ছেলে। তার বিরুদ্ধে শ্যামনগর, সাতক্ষীরা, মাগুরাসহ দেশের বিভিন্ন থানায় মটর সাইকেল চুরির ১২টি মামলা রয়েছে। ০শ্যামনগরের আলোচিত আব্দুল্লাহ আল বাকি গুম ঘটনার নেপথ্য নায়ক ও প্রধান অভিযুক্ত ছিলেন রেজাউল ইসলাম।
শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে শ্যামনগর উপজেলার খানপুর ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ঐ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ানশুটার গান ও কিছু গুলি উদ্ধার করা হয়।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের তথ্য কর্মকর্তা ও বিশেষ শাখার পরিদর্শক বিশেস শাখার পরিদর্শক আযম খান বলেন, মটর সাইকেল চোর সিন্ডিকেটের হোতা রেজাউল ইসলামকে ঢাকার পল্লবী থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার একটি গোপন আস্তানা থেকে গ্রেপ্তার করে। শ্যামনগর থানা পুলিশ শুক্রবার সকালে তাকে সাতক্ষীরায় নিয়ে আসে। পরবর্তীতে রেজাউলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মটর সাইকেল চোর সিন্ডিকেটের আরও তিন সদস্য শামীম, শাহাজান ও শহিদুল ইসলামকে আটক করা হয়। এসব তাদের নিকট থেকে একটি চোরাই মটর সাইকেলও উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, রেজাউলের দেয়া তথ্য মতে শুক্রবার রাতে আরও মটর সাইকেল উদ্ধারের জন্য অভিযানে যাওয়ার পর সহযোগীরা তাকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে এবং পুলিশকে লক্ষ করে গুলি ছোঁড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছুঁড়লে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলেও রেজাউলসহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়। দ্রুত তাকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলেও ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করে।
স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানায় এলাকায় তার ভয়ে কেউ তার কোন অপকর্মের প্রতিবাদ করার সাহস পেত না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাদঘাটা গ্রামের কয়েকজন জানায় দেশবাপী মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে রেজাউল আত্মগোপনে ছিল। পরিবারের পক্ষ থেকে বার বার দাবি করা হচ্ছিল যে রেজাউল ভারতে চলে গেছে। কিন্তু রেজাউলের আত্মগোপনে যাওয়ার পরও তার অন্যতম সহযোগী ঈশ্বরীপুরের কামরুলসহ তার কয়েক ভাই এবং নিযুক্ত এজেণ্ট বিলু বেগম নির্বিঘেœ মাদকদ্রব্য বিক্রিসহ মটর সাইকেল চুরি ও মাদকদ্রব্য বেচা বিক্রর ব্যবসা পরিচালনা করছিল।
শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ রেদোয়ান জানান রাত আড়্ইাটার কিছু পরে গুলিবিদ্ধ রেজাউল ইসলামকে পুলিশ সদস্যরা জরুরী বিভাগে আনে। তবে আনার সময় তার মৃত্যু হয়।
উল্লেখ্য শ্যামনগর থানা থেকে এক উপ-পরিদর্শকের মটর সাইকেল চুরি হয়। ঐ ঘটনায় রেজাউলের উপর চাপ সৃষ্টির একদিন পরেই রমজাননগর এলাকায় রাস্তার উপর থেকে ঐ মটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া প্রায় এক দশক আগে চিংড়ী ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ আল বাকী নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত তার কোন হদিস মেলেনি। ঐ ঘটনায় রেজাউলকে অভিযুক্ত করে তার স্ত্রী শ্যামনগর থানায় একটি মামলা করলেও রেজাউলকে আটকানো যায়নি।
স্থানীয়রা জানিয়েছে গোটা শ্যামনগরসহ পার্শ্ববর্তী কালিগঞ্জ উপজেলায় সকল মাদক বেচা বিক্রির ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করতো রেজাউল। তাকে এড়িয়ে কেউ এসব বব্যসা করলে কিংবা তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে রেজাউল তাকে মামলায় জড়িয়ে দেয়াসহ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করতো।
সূত্রঃপত্রদূত নেট।