বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব থাকাকালীন নিজের কর্মদক্ষতা ও কাজের মাধ্যমেই প্রধানমন্ত্রীর আস্থা অর্জন করেছিলেন। বিদ্যুৎখাতে সরকারের বড় বড় প্রকল্প নেওয়া ও বাস্তবায়নের পেছনে তার ভূমিকার কথা স্বীকৃত সব মহলেই। বিদ্যুৎ ব্যবস্থার বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সেই সুফলই এখন ভোগ করছে ১৬ কোটির বাংলাদেশ।
এরপর প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন শেষে তাকে নতুন পদ সৃষ্টি করে নিজের কার্যালয়েই রেখে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দায়িত্ব পেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বিষয়ক মূখ্য সমন্বয়কের।
এ চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৩০ নভেম্বর। এমন প্রেক্ষাপটে সরকার প্রধানের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনের মাধ্যমে আবারও চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগে তিন বছরের জন্য এসডিজি বিষয়ক সমন্বয়কের দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন আবুল কালাম আজাদ।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র এ বিষয়টি কালের আলো’কে নিশ্চিত করেছেন। সূত্রগুলো বলছে, আগামী ৩০ নভেম্বর তার মেয়াদ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আরও তিন বছরের জন্য তাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিবে সরকার। এরপর এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশের সফলতা বিশ্ব সমাদৃত, বরাবরই বলে আসছেন এসডিজি বিষয়ক মূখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ। স্বপ্নচারী এ মানুষটি মনে করেন ২০৩০ সালের আগেই বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হবে।
টেকসই উন্নয়নে (এলজিডি) অর্জনে প্রতিটি পর্যায়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠাকে সরকার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়ায় এ অর্জন বাংলাদেশে সাফল্যে নতুন পালক যুক্ত করবে।
২০১৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি আবুল কালাম আজাদ প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিবের দায়িত্ব পান। অবসরের বয়স সীমা পৌঁছানোর পর একই পদে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয় তাকে। এরপর সরকার প্রধান শেখ হাসিনা তাকে এসডিজি বিষয়ক মূখ্য সমন্বয়কের দায়িত্ব প্রদান করেন।
মূলত প্রশাসন ক্যাডারের এই কর্মকর্তাকে রাখতেই ওই সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নতুন করে এসডিজি বিষয়ক সমন্বয়কের পদ সৃষ্টি করা হয়।
তিনি জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) ও বিশ্বব্যাংকের স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) বিষয়ক কর্মসূচীগুলোর দায়িত্ব পালনেও নিজের যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখেন।
সরকার প্রধান শেখ হাসিনা আবুল কালাম আজাদকে যখন যে দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি তা শতভাগ বিশ্বাস ও আন্তরিকতার সঙ্গেই পালন করায় সব সময় প্রধানমন্ত্রীর আপত্য স্নেহ পেয়েছেন বর্ণাঢ্য চাকরি জীবনে সততার উদাহরণ তৈরি করা প্রচারবিমুখ এ কর্মকর্তা।
এর আগে আবুল কালাম আজাদ অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ এবং বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ছিলেন। তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব এবং বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পরিচালকের দায়িত্বের ছিলেন।
মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক এবং দিনাজপুরের পার্বতীপুর ও কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি।
আবুল কালাম আজাদ ১৯৫৭ সালের ৭ জানুয়ারি জামালপুরে জন্মগ্রহণ করেন। বঈবন্ধু ও শেখ হাসিনা অন্ত:প্রাণ এ মানুষটির জন্য কালের আলো পরিবারের পক্ষ থেকে অফুরান শুভকামনা; ভালোবাসা অবিরাম।