আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মমিনুল ইসলাম পিপিএম বলেছেন, কথা ছিল, আমাদের শিশুরা আর কখনও ভূতের ভয় পাবে না।ঠাকুর মার ঝুলি থেকে বেরিয়ে পরা সারল্য মাখা চোখগুলো মগ্ন হয়ে পাঠ করবে জোতির্বিজ্ঞানী কোপারনিকাসের পৃথিবীর সূর্য প্রদক্ষিণের গল্প, গ্যালিলিওর যন্ত্রণা ও ব্রুণোর পুড়ে যাওয়ার হাহাকার ।
ওসি মমিনুল ইসলাম বলেন, কথা ছিল, আমাদের কবিতার শব্দাবলি জুড়ে রক্তস্নাত স্বদেশ কাঁদবে, আমাদের গানের সুরে বীরাঙ্গনার কাতর চিত্কার গুমরে উঠবে, রংতুলির ক্যানভাসে ভেসে উঠবে বধ্যভূমিতে পড়ে থাকা করোটির দুচোখ ভরা শূন্যতা । আজ যখন নিজের দিকে তাকাই, স্বদেশের মানচিত্রের দিকে তাকাই, নির্মম ব্যাবচ্ছেদে মাতি, টের পাই আমরা কেউ কথা রাখিনি । আমাদের ইমারত বেড়েছে, কিন্তু মন হয়েছে সংকীর্ণ, মানবিকতা হারিয়ে ফেলেছি ।
ওসি আরো বলেন, আমরা সহমর্মিতা বিসর্জন দিয়েছি । উপায় সর্বস্বরা দানবের মতো উপায়হীনদের গলায় পা দিয়ে দাঁড়িয়েছি। কতিপয় নরপশুর নখরে ক্ষতবিক্ষত স্বদেশ !!!
রবিবার রাতে Assashuni Thana Police ফেইজবুক আইডির মাধ্যে এক আবেগঘণ স্টাটাস দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ জিমি, সিটিজেন জার্নালিস্ট, সাতক্ষীরা।
Copyright © 2024 Update Satkhira. All rights reserved.