আওয়ামী লীগ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার হলেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ ওঠায় তাকে বহিষ্কার করেছে আওয়ামী লীগ।
শুক্রবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
জাহাঙ্গীর গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ঘরোয়া আলোচনার সেই ভিডিও ফেসবুকে ফাঁসের পর তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে দুই মাস ধরে সেখানে বিক্ষোভ করছে ক্ষমতাসীন দলের একটি অংশ।
পরবর্তীতে দলের পক্ষ থেকে তাকে কারণ শোকজ করা হয়। ওই চিঠিতে জাহাঙ্গীর আলমকে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়। শৃঙ্খলাভঙ্গ ও বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য দেয়া শোকজের জবাবও দিয়েছেন তিনি। তবে তার জবাবে দলের নীতিনির্ধারকরা সন্তুষ্ট হতে পারেননি বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
যে অভিযোগ পদ হারালেন জাহাঙ্গীর
গত ২২ সেপ্টেম্বর ঘরোয়া আলোচনার রেকর্ড ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর আওয়ামী লীগের একটি অংশ জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে দলীয় ও আইনি ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে বিক্ষোভে নামে।
সে সময় মেয়র ছিলেন দেশের বাইরে। দেশে ফিরে ২৪ অক্টোবর তিনি পাল্টা সমাবেশ ডেকে নিজের শক্তি দেখান। সেই সমাবেশের সময় তার বিরোধীদের পুলিশ সরিয়ে নেয়ার ঘটনায় তিনি পার পেয়ে যান কি না, তা নিয়ে আলোচনা তৈরি হয়।
ক্ষোভ-বিক্ষোভের মধ্যে গত ৩ অক্টোবর জাহাঙ্গীরের কাছে দলের পক্ষ থেকে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। এতে তাকে ১৫ দিন সময় দেয়া হয়। ১৮ অক্টোবর সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই মেয়র তার ব্যাখ্যা দেন।
নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে একাধিকবার গণমাধ্যমে বক্তব্য রেখেছেন মেয়র জাহাঙ্গীর। ষড়যন্ত্র করে এডিট করে এসব করা হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেছেন।
নিজেকে নির্দোষ দাবি করে মেয়র জাহাঙ্গীর দলের সভাপতি শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন বলেও জানান।