কনস্টেবল থেকে আইজিপি- সবাই এক পরিবারের সদস্য মন্তব্য করে ইউনিফর্মের ‘সম্মান রক্ষায়’ সদস্যদের মনোযোগী হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন ঢাকার পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
তিনি বলেছেন, “শরীরের কোনো অঙ্গে আঘাত পেলে যেমন পুরো শরীরটা কষ্ট পায়; তেমনই কনস্টেবলের গায়ে আঘাত লাগলে সেটা কমিশনারের গায়েও লাগে। পুলিশের ইজ্জত রক্ষা করতে হবে, ইউনিফর্মের সম্মান রক্ষা করতে হবে।”
রোববার সকালে মিরপুর পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) পুলিশ লাইন্সে পুলিশের সব স্তরের সদস্যদের সঙ্গে বিশেষ কল্যাণ সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন বলে মহানগর পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
গোলাম ফারুক বলেন, “সদস্যদের মানসিক শক্তি ও ইচ্ছা থাকলে যে কোনো অজেয়কে জয় করা সম্ভব। এজন্য ফোর্সের সাথে কখনও সন্তান, কখনও ভাই, কখনও বন্ধুর মতো মিশতে হবে।
“তাদের ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। আবার দায়িত্ব পালনের সময় কমান্ডারের অবস্থানটা ধরে রাখতে হবে।”
দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কোনো বিপদ-আপদ আসলে বা ব্যক্তিগত কিংবা পারিবারিক সমস্যায় পুলিশ সদস্যদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, “তবে ইউনিফর্মের আড়ালে কোনো অপরাধে জড়িয়ে পড়লে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
“আমাদের এমনভাবে দায়িত্বপালন করা উচিত যেন অবসরে যাওয়ার পরেও মানুষ আমাদেরকে মনে রাখে।”
চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পুলিশ কখনোই ব্যর্থ হয় না মন্তব্য করে গোলাম ফারুক বলেন, “স্বাধীনতার সশস্ত্র যুদ্ধের প্রথম প্রতিরোধকারীর গৌরবময় অংশীদার পুলিশ। সেই ’৭১ থেকে আজ পর্যন্ত যেকোনো ক্রান্তিলগ্নে পুলিশ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন হতে দেয়নি।
“২০১৩ ও ২০১৪ এর অগ্নিসংযোগ, বোমা হামলা, জঙ্গি বা কোভিডের মতো প্রাকৃতিক মহামারি- কোনো কিছুই পুলিশের মনোবলে চিড় ধরাতে পারেনি। সরকার যখন যে দায়িত্ব প্রদান করেছে, তা অত্যন্ত নিষ্ঠা ও সফলতার সাথে পালন করেছে এবং আগামীতেও করবে।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মীর রেজাউল আলম।