করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে জনপ্রশাসনের ১২৩ কর্মকর্তাকে যুগ্ম-সচিব পদে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার। উপ-সচিব থেকে যুগ্ম-সচিব পদে পদোন্নতি দিয়ে শুক্রবার (৫ জুন) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে আদেশ জারি করা হয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী পদোন্নতি দিয়ে দেশে কর্মরত কর্মকর্তাদের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। তবে এই পদোন্নতিপ্রাপ্ত যুগ্ম-সচিবদের পদায়ন করা হয়নি।
পদোন্নতিপ্রাপ্তদের মধ্যে ১১৭ জন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অন্যান্য সরকারি দফতরে কর্মরত আছেন। আর ছয়জন বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাস ও হাইকমিশনে কর্মরত আছেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, পদোন্নতির পর যুগ্ম-সচিবের মোট সংখ্যা হল ৭৩৯ জন। যুগ্ম-সচিবের নিয়মিত পদের সংখ্যা ৪১১টি।
স্থায়ী পদ না থাকায় এমনিতেই অনেক যুগ্ম-সচিবকে নিচের পদে কাজ করতে হচ্ছে, এর ওপর নতুন করে পদোন্নতি দেয়া হলো। পদোন্নতিপ্রাপ্ত বেশির ভাগ যুগ্ম-সচিবকে বর্তমান কর্মস্থলে ইনসিটু (উপ-সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করা স্থানে) থাকতে হবে।
এর আগে গত বছরের ১৬ জুন ১৩৬ কর্মকর্তাকে যুগ্ম-সচিব পদে পদোন্নতি দিয়েছিল সরকার।
‘সরকারের উপ-সচিব, যুগ্ম-সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব পদে পদোন্নতি বিধিমালা, ২০০২’-এ বলা হয়েছে, যুগ্ম-সচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ৭০ শতাংশ প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের ও ৩০ শতাংশ অন্যান্য ক্যাডারের উপ-সচিব পদে কর্মরতদের বিবেচনায় নিতে হবে।
বিধিমালা অনুযায়ী, উপ-সচিব পদে কমপক্ষেপাঁচ বছর চাকরিসহ সংশ্লিষ্ট ক্যাডারের সদস্য হিসেবে কমপক্ষে ১৫ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা বা উপ-সচিব পদে কমপক্ষে তিন বছর চাকরিসহ ২০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকলে কোনো কর্মকর্তা যুগ্ম-সচিব পদে পদোন্নতির জন্য বিবেচিত হন।