একটি নির্মম, নিষ্ঠুর হত্যা কান্ডের রহস্য উন্মোচন ও আসামি গ্রেফতার করলো সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ।
ইং ৩১/০৭/২০২০ তারিখ সাতক্ষীরা সদর থানাধীন পাঁচরুখী সাকিনের সুরত আলীর ছেলে মোঃ মইনুর রহমান (১৭) একটি ইজিবাইক নিয়ে ভাড়ায় চালানোর জন্য বাড়ী হতে বাহির হয়ে যায়। রাত্রিতে আর বাড়ীতে ফিরে আসে নাই।
পরে ইং ০১/০৮/২০২০ তারিখ ভিকটিম মইনুরের চাচা আফসার আলী সাতক্ষীরা থানায় একটি সাধারন ডায়রী করেন। যাহার নং-২০, তারিখ-০১/০৮/২০২০ ইং।
বর্নিত ডায়রী তদন্তকালে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান (পিপিএমবার) এঁর দিক নির্দেশনায় অদ্য ইং ১০/০৮/২০২০ তারিখ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আসাদুজ্জামান (অপারেশ ও প্রসাশন) এর নেতৃত্বে সতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা সালাহ্উদ্দিন, সাতক্ষীরা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আসাদুজ্জামান, জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ মহিদুল ইসলাম,সাতক্ষীরা থানার ইন্সপেক্টর অপারেশন বিপ্লব কান্তি মন্ডল তথ্য প্রযুক্তিতর মাধ্যমে এক কুখ্যাত ইজিবাইক ছিনতাইকারী (হুমায়ুন কবির) ঘাতককে অভিযান পরিচালনা করিয়া আটক করে এবং তার দেখানো মতে লুন্ঠন হওয়া ইজিবাইক শ্রীরামপুর ধৃত হুমায়ুন কবীরের শ্বশুর গফুর দফাদার এর বসত বাড়ী হইতে উদ্ধার করে।
তার দেওয়া তথ্য মতে ভিকটিম মইনুর রহমান (ইজিবাইকের চালক) এর মৃত দেহ বাঁকাল পেট্রোনল পাম্পের পিছনে সবুর মিয়ার পরিত্যক্ত ইটভাটার সন্নিকরে একটি সেফটি ট্যাংকির ভিতর হইতে উদ্ধার করা হয়।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম(বার) তাঁর ব্যক্তিগত ফেইজবুক আইডিতে রহস্য উদঘাটনকারী টিম কে ধন্যবাদ জানিয়ে স্টাটাস দিয়েছেন... ঈদের ব্যস্ততার মাঝেও জেলা পুলিশের একাধিক টিম অক্লান্ত পরিশ্রম করে দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর আসামি গ্রেফতার, ইজিবাইক উদ্ধার, ভিকটিমের লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এই নির্মম হত্যা কান্ডের বর্ণনা ভাষাতীত।উপযুক্ত বিচারের জন্য আসামীদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।