তারিক ইসলাম : নতুন সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়নে নিজেদের অবস্থানে কঠোর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। অবশ্য শুরুতেই সামান্য পরিমাণ জরিমানা করে লিফলেট দেওয়ার পর পুনরায় একই অপরাধ করলে তাকে আইন অনুযায়ী পুরো জরিমানা বা শাস্তি ভোগ করার কথা জানিয়ে দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
একই সঈে ঘোষণা দিয়েছেন, এক সপ্তাহ নতুন আইনে কোন মামলা হবে না। এরপর থেকে রশিদের মাধ্যমে মামলা নেওয়া শুরু হবে। আর পস মেশিনের সার্ভার আপডেট করার পরে এ পদ্ধতিতে মামলা নেওয়া শুরু হবে।
রোববার (৪ নভেম্বর) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার এসব কথা জানান।
মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, নতুন আইন যদি কেউ প্রথমবার ভঙ্গ করে তাহলে তাকে সামান্য পরিমাণ জরিমানা করা হবে। একই সঙ্গে তাকে একটি লিফলেট দেওয়া হবে যে পরবর্তীতে এই একই অপরাধ করলে তাকে আইন অনুযায়ী পুরো জরিমানা বা শাস্তি ভোগ করতে হবে। এক সপ্তাহ নতুন আইনে কোন মামলা হবে না। এরপর থেকে রশিদের মাধ্যমে মামলা নেওয়া শুরু হবে। আর পস মেশিনের সার্ভার আপডেট করার পরে এ পদ্ধতিতে মামলা নেওয়া শুরু হবে।
তিনি বলেন, নতুন ট্রাফিক আইনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য সাজার পরিমাণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর ফলে সবার মধ্যে আইন মানার প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে এবং ট্রাফিক ব্যবস্থা আরো উন্নত হবে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, নতুন আইন বাস্তবায়ন নিয়ে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। সব শেষ গত ১ নভেম্বর গেজেট পাশের মাধ্যমে আইন বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এর ফলে পুরনো আইনের ধারা পরিবর্তন হয়ে গেছে। নতুন ধারা সম্পর্কে ডিএমপির ৮০০ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি আইন সম্পর্কে নতুন একটি বই বাজারে এসেছে। সব কর্মকর্তাকে এক মাসের মধ্যে নতুন আইন সম্পর্কে বিস্তারিত জানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কোনো কর্মকর্তা যদি মামলা না দিয়ে অন্য কোনোভাবে সুবিধা নিতে চান। কেউ যদি সেই অভিযোগ করেন এবং তা প্রমাণিত হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
‘আমরা সার্জেন্টদের ক্যামেরা দেব। এমন ঘটনার যদি অভিযোগ থাকে আর যদি সার্জেন্টের ক্যামেরা অন না থাকে (বন্ধ থাকে), আমরা ধরব সে অবৈধ কাজের জন্য বন্ধ রেখেছিল। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা, সচিবসহ সরকারী কর্মকর্তাদের নামে মামলা দেয়া হয়েছিল। বর্তমানে ৯৯ ভাগ সার্জেন্ট ও ট্রাফিক পুলিশ হেলমেট পরছেন না। এই আইনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না? জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে পুলিশ স্বচ্ছ থাকবে। আমরা পুলিশের সবাইকে বলে দিয়েছি, ট্রাফিকের লোকজন যদি আইন অমান্য করে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেব।