জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন বলেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন করতে হলে সুশাসন প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই।
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সিভিল সার্ভিসের ভূমিকা শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন। খুলনা সার্কিট হাউস সম্মেলনকক্ষে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে খুলনা জেলা প্রশাসন।
জনপ্রশাসন সচিব বলেন, একটি সরকারের কর্মকান্ড প্রতিফলিত হয় সিভিল সার্ভেন্টদের কাজের মধ্যদিয়ে। তাই সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সিভিল সার্ভেন্টরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে। ২০০৯ সালের পর সরকারি চাকুরিজীবীদের বেতন ৩২৩ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এরপরও যদি কেউ দুর্নীতি করে তাহলে বুঝতে হবে এটা তার অভাব নয়, এটা তার স্বভাব। কলমের দ্বারা যে সকল কর্মকর্তা দুর্নীতি করে তাদেরকে প্রতিরোধ করতে না পারলে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা যাবে না।
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা সুশাসনের অন্যতম অনুষঙ্গ উল্লেখ করে প্রধান অতিথি বলেন, প্রতিটি সরকারি অফিসকে স্বপ্রণোদিত হয়ে তথ্য প্রকাশ করে জনগণকে সরকারি সেবা সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে হবে। একইসাথে তথ্যের ভুলের কারণে যেন জাতি ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
তিনি জনসংখ্যা বা কৃষি উৎপাদনের পরিমান ইত্যাদি স্পর্শকাতর বিষয়ে পরিসংখ্যানগত তথ্য প্রদানের সময় সঠিক হিসাব প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি নিদের্শ দেন।
উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে কর্মকর্তারা বলেন, সেবাগ্রহীতার আসনে নিজেকে বসিয়ে চিন্তা করতে হবে কিভাবে সরকারি সেবা প্রাপ্তিকে আরও সহজ ও গতিশীল করা যায়। এজন্য সবাইকে প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জন করতে হবে। সামনে পেপারলেস অফিসের যে চ্যালেঞ্জ আসছে তার জন্য নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে হবে। জনস্বার্থে নিয়োগ পাওয়া সিভিল সার্ভেন্টদের নিজস্বার্থ ভুলে কাজ করতে হবে।
খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই মতবিনিময় সভায় পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ বিপিএম , সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ সহ জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের বিভিন্ন সরকারি অফিসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত জানান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইউসুপ আলী।