সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান ৪৮ ঘন্টা আগে সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নে মাদক ব্যবসায়ীদের আল্টিমেটাম দিয়ে বলেছিলেন.... আত্মসমর্পণ না করলে তাদের বাড়ি ঘর গুড়ি দেওয়া হবে।
ওসি মোস্তাফিজুর রহমানের এ আন্টিমেটাম ৪৮ ঘন্টা পূর্ণ হওয়ার আগেই ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ১১ জন মাদক ব্যবসায়ী তাদের ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের সহযোগিতায় শনিবার সকালে আত্মসমর্পণ করতে সাতক্ষীরা থানায় আসেন ওসি মোস্তাফিজুর রহমান এর নিকটে।
শনিবার বেলা ১১.৩০ মিনিটে সাতক্ষীরা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান এর কাছে আনুষ্ঠানিক ভাবে আত্মসমর্পণ করলেন ঝাউডাঙ্গার ইউনিয়নের ১৫ জন মাদক ব্যবসায়ী।আত্মসমর্পণ কারীদের মাদক ব্যবসা করবোনা এই মর্মে শপত বাক্য পাঠ করান সাতক্ষীরা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।এসময় সুস্থ্য ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার জন্য ওসি মোস্তাফিজুর রহমান মাদক ব্যবসায়ীদের স্বাগত জানিয়ে ১ টি করে রজনী গান্ধার স্টিক উপহার দেন। এ সময় তারা লিখিত অঙ্গীকার করেন। তিনি জানান তাদের বিরুদ্ধে থাকা মামলাগুলি দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করা হবে।
আত্মসমর্পনকারীরা হলেনঃ
১। জামাল হোসেন,
২। মনিরুল ইসলাম মনি,
৩। মো. আলাউদ্দিন ,
৪। ফারুক হোসেন,
৫। বাবলুর রহমান,
৬।আলি হোসেন ,
৭। শহিদ হোসেন,
৮। কামরুজ্জামান রানা,
৯। মফিজুল ইসলাম,
১০। জিয়ারুল ইসলাম,
১১। মিজানুর টিক্কা,
১২। শাহিন ,
১৩। আজিজ ও
১৪।আজিজার
১৫। রহমান।
মাদক কারবারিদের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে এ সময় সাতক্ষীরা থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান,দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জী, সাতক্ষীরা থানার পরিদর্শক তদন্ত আবুল কালাম আজাদ , পরিদর্শক অপারেশন বিপ্লব কান্তি মন্ডল,ডিউটি অফিসার এসআই নূর আলম, ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান,সাংবাদিক সিরাজুল রহমান,সেকেন্ড অফিসার প্রবীর সানা সহ সদর থানার বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
এক প্রশ্নের উত্তরে ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর পিপিএম (বার) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( পদন্নোতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার) মোহাম্মদ ইলতুৎ মিশ এঁর দিক নির্দেশনা মোতাবেক মাদক বিরোধী অভিযান কে আরো বেগবান করা হবে।