প্রাণসংহারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পুলিশের আরেক সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম শ্রী রঘুনাথ রায়। তিনি পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই)।
বুধবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
এর আগে রঘুনাথের শরীরে ভাইরাসটির সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর তাকে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছিল। সেখানে তিনি মারা যান।
রঘুনাথ রায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) দক্ষিণ বিভাগের আলফা কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাযুদ্ধে শ্রী রঘুনাথ রায়ের মৃত্যুতে বাংলাদেশ পুলিশ গভীরভাবে শোকাহত। একই সাথে দেশের মানুষের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গিয়ে সহকর্মীর এমন আত্মত্যাগের জন্য পুলিশের প্রতিটি সদস্য গর্বিত।
রঘুনাথ রায়ের গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলায়। তিনি এক মেয়ে এবং এক ছেলের জনক ছিলেন। পুলিশের ব্যবস্থাপনায় তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। সেখানে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী তাঁর মৃত্যু পরবর্তী আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হবে।
রঘুনাথকে নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে পুলিশের ছয় সদস্যের মৃত্যু হলো। এছাড়া প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে বাহিনীটির ১১৫৩ জন সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন। ডিএমপিতে কর্মরত পুলিশ সদস্যের মধ্যে এই ভাইরাস বেশি শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে করোনাযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী রঘুনাথ রায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) দক্ষিণ বিভাগের আলফা কোম্পানিতে কর্মরত রঘুনাথ রায়ের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের পরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ, বিপিএম (বার)।
পুলিশ প্রধান বলেন, জনসেবায় তাঁর এ সুমহান আত্মত্যাগে বাংলাদেশ পুলিশ গর্বিত। তাঁর এ আত্মত্যাগ সহকর্মীদের কাছে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। বাংলাদেশ পুলিশ চিরদিন তাঁকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ রাখবে।