সরকারের সিদ্ধান্তের পর ঈদ কেনাকাটাকে কেন্দ্র করে সীমিত পরিসরে দোকানপাট খুলে দেয় সরকার। তবে দোকানপাট খুলে দেয়ার পরই শুরু হয় ক্রেতাদের উপরচে পড়া ভিড়। ক্রেতা বিক্রেতা কেউই স্বাস্থ্যবিধি মানছিল না। এমন পরিস্থিতিতে সাতক্ষীরার সকল কাপড়ের দোকান বন্ধ ঘোষনা করে জেলা প্রশাসন। এছাড়া করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে প্রথমবারের মত হার্ডলাইনে মাঠে নেমেছে প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলার অভ্যন্তরীণ উপজেলাতেও যাতায়াত বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। এরপর জেলার সীমান্ত এলাকায় নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকেই জেলার ত্রিশটি স্থানে চেকপোষ্ট বসিয়ে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কাউকেই এক উপজেলা থেকে আরেক উপজেলায় যেতে দিচ্ছে না প্রশাসন। মাঠে নেমেছেন জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামালও। নিজেও রাস্তায় নেমে জনসাধারণের চলাফেরার তদারকি করছেন। এছাড়া জেলার ত্রিশটি স্থানে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে চেকপোষ্ট বসিয়ে তদারকি করছে প্রশাসনিক টিম।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা ও তালা উপজেলার সংযোগস্থল বিনেরপোতা এলাকা। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় দেখা যায়, সেখানে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ইন্দ্রজিত সাহার নেতৃত্বে চলছে চেকপোষ্ট কার্যক্রম।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ইন্দ্রজিত সাহা জানান, সীমিত পরিসরে দোকানপাট খুলে দেওয়ার পর প্রচুর ভিড় লক্ষ্য করা হয়। যেখানে উপেক্ষিত হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি। এরই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাপড়ের দোকানপাট বন্ধসহ চলাচলে বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। আমরা সেগুলো বাস্তবায়ন করছি।
তিনি বলেন, অন্য জেলার মানুষ সাতক্ষীরায় প্রবেশ করতে না পারে একই সঙ্গে জেলার অভ্যন্তরীণ এক উপজেলার মানুষকে অন্য উপজেলায় যাতায়াতে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। তবে চিকিৎসা সংক্রান্ত জরুরী প্রয়োজন ও সরকারি নির্দেশনার আলোকে চলাচল করতে পারবে এমন যানবাহনসহ ব্যক্তি চলাচল করতে পারবেন। কঠোরভাবে সরকারি সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কেউ সরকারি সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে প্রশাসনের এত তৎপরতার পরও মানুষ বিধিনিষেধ উপেক্ষা করেই বাইরে ঘোরাফেরা করছেন। সাতক্ষীরার তালা উপজেলার শিবপুর এলাকা থেকে সাতক্ষীরা শহরে এসেছেন ফারুক খান। জানতে চাইলে সাতক্ষীরা প্রবেশের সঠিক কারণ তিনি জানাতে পারেননি। এছাড়া ইজিবাইক মাহেন্দ্র, মোটরযান ও ট্রাকে করে মানুষদের চলাফেরা করতে দেখা গেছে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস. এম মোস্তফা কামাল বলেন, ঈদ কেনাকাটাকে কেন্দ্র করে জেলার কাপড়ের দোকানগুলোতে প্রচুর ভিড় হচ্ছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত জেলার সকল কাপড়ের দোকান বন্ধ ঘোষনাসহ চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। প্রশাসনের টিমগুলো চেকপোষ্ট বসিয়ে নজরদারি করছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ জিমি, সিটিজেন জার্নালিস্ট, সাতক্ষীরা।
Copyright © 2024 Update Satkhira. All rights reserved.