কলারোয়া থানার ডাবল মার্ডার মামলার রহস্য উদঘাটন করলেন সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা সালাহ্উদ্দিন। গত ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ইং তারিখ রাতে কলারোয়া থানার শ্রীপতিপুর গ্রামে আলহাজ্ব শেখ আবদুল হাই-এর বসতবাড়িতে নৃশংস হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।
যেখানে ফাতেমা খাতুন এবং করিম পাড় নামের একজন মহিলা এবং একজন পুরুষকে নৃশংসভাবে খুন করে তাদের মৃতদেহ গলায় ফাঁস দিয়ে আম গাছে ঝুলিয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। মৃতদেহ দু'টি এমন ভাবে আম গাছের সাথে ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয় যেন তারা নিজেরাই আত্মহত্যা করেছে মনে করে লোকজন বিভ্রান্ত হয়। এ ঘটনায় ভিকটিম করিম পাড়ের পিতা মো: জয়নাল পাড় এজাহার দাখিল করলে কলারোয়া থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা রুজু হয়।
পরে পুলিশ সুপার, সাতক্ষীরা মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম (বার) এঁর নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সদর সার্কেল মির্জা সালাহউদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা সালাহ্উদ্দিন জানান, প্রযুক্তিনির্ভর তদন্ত এবং সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকারী ফাতেমা খাতুন এর স্বামী শেখ আহসানকে আজ ভোর রাতে গ্রেফতার পূর্বক ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকাণ্ডে তার ভূমিকা এবং পরবর্তীতে লাশ আম গাছে ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে তার অপর সহযোগী আসামীর কথাও স্বীকার করে।
তিনি আরো জানান,সোমবার সকাল অনুমান ১১ ঘটিকায় আসামী শেখ আহসান শত শত এলাকাবাসী এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সম্মানিত সাংবাদিকদের সম্মুখে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত লোহার রডের তৈরি শাবল দেখিয়ে দিলে তার দেখানো মতে আলামতটি জব্দ করা হয়।
মির্জা সালাহ্উদ্দিন আরো জানান, আসামি শেখ আহসান ইতোমধ্যে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে সহায়তাকারী অপর আসামিকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ জিমি, সিটিজেন জার্নালিস্ট, সাতক্ষীরা।
Copyright © 2024 Update Satkhira. All rights reserved.