জুলফিকার আলী,কলারোয়া(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধিঃ একদিনের ব্যবধানে কলারোয়ায় আবারো ৪বছরের এক কন্যা শিশু নির্যাতনে স্বীকার শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় এক কিশোরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে জনতা। থানায় মামলা হয়েছে আর ভূক্তভোগীকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আটক রাসেল হোসেন (১৪) উপজেলার কাঁকডাঙ্গা গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে ও আজিজুলের দৌহিত্র।
ঘটনাটি ঘটেছে-মঙ্গলবার (৬নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের কাকডাঙ্গা গ্রামে। কাঁকডাঙ্গা মোড়ের বাসিন্দা ভূক্তভোগির চাচা ইসমাইল হোসেন জানান- মঙ্গলবার দুপুরের খাওয়ার পর বাড়ির আঙিনায় খেলা করছিল ৪বছরের এক কন্যা শিশু। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে রক্ত ক্ষরণ অবস্থায় কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে এসে তার মা’কে জানায় যে, রাসেল (১৪) তাকে ভুলিয়ে পার্শ্ববর্তী টেন্টির পুকুর এলাকার বাগানে নিয়ে পাশবিক নির্যাতন করে পালিয়ে যায়। একথা শুনে স্বজনসহ স্থানীয়রা তাৎক্ষনিক বখাটে রাসেলকে আটকে রেখে পুলিশকে খবর দেয়।
সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেরিনা আক্তার ও কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মারুফ আহম্মদ ঘটনা স্থান পরিদর্শন করেন ও অভিযান চালিয়ে ধর্ষক রাসেল কে আটক করেন এবং কলারোয়া থানায় নেয়া হয়। পরে ভূক্তভোগি শিশুকে জেলা পুলিশের সহযোগিতায় সাতক্ষীরার ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।
ভূক্তভোগি কন্যার পিতা জানান-‘আমি জীবিকা নির্বাহের জন্য ভোমরায় ছিলাম। ফোনে বিষয়টি জানতে পেরে বাড়িতে আসি। আমার মেয়ে উঠানে খেলা করার সময় রাসেল তাকে ভুলিয়ে নিয়ে পাশবিক নির্যাতন করে। আমার বাচ্চা মেয়েটি এখন অসুস্থ। আমি এর ন্যায্য বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। এ ব্যাপারে ৫নং কেঁড়াগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম আফজাল হোসেন হাবিল জানান-আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিলাম। তারা উভয়েই অপ্রাপ্তবয়স্ক। ভিকটিমের মেডিকেল চেকআপের পর সত্যতা জানা যাবে। কলারোয়া থানার ওসি মারুফ আহম্মদ জানান- সার্কেল এসপি মহোদয়ের মাধ্যমে ভিকটিমকে সাতক্ষীরার ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। মামলা হচ্ছে। সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেরিনা আক্তার জানান-আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আমরা ভিকটিমকে সাতক্ষীরার ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করেছি। তার চিকিৎসা চলছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি অবহিত করেন। ন্যাক্কারজনক এ ঘটনায় স্থানীয়রা অভিযুক্ত রাসেলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বলেছেন- ছেলেটি ক্লাস ৭ম পর্যন্ত পড়াশুনা করেছে। এখন ঘুরে ঘুরে বেড়ায়। সে বদ টাইপের ও তার স্বভাব চরিত্রও দৃষ্টকটু। উলে¬খ্য, সোমবার (৫নভেম্বর) কলারোয়ার কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের পাঁচ ধানঘোরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির এক ছাত্রী যৌন নিপীড়ণের শিকার হয়। ওই ঘটনায় প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেনকে আটক করে পুলিশ জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ জিমি, সিটিজেন জার্নালিস্ট, সাতক্ষীরা।
Copyright © 2024 Update Satkhira. All rights reserved.