বান্দরবানের থানচির রেমাক্রির নতুন ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় পাহাড়ি সন্ত্রাসী সংগঠন কুকি-চিন ও জঙ্গিদের সঙ্গে র্যাবের গোলাগুলি হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে এ ঘটনায় পাঁচ জঙ্গিকে আটক করেছে র্যাব। এ সময় র্যাবের আট সদস্য আহত হয়েছেন।
র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) এম খুরশীদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
মঙ্গলবার বিকালে থানচির তমাতুঙ্গিতে এ বিষয়ে তিনি সাংবাদিকদের ব্রিফিং কালে র্যাবের ডিজি বলেন, ‘সকালে থানচির রেমাক্রি এলাকায় অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় র্যাব সদস্যদের লক্ষ করে গুলি ছোড়ে জঙ্গি ও কুকিচিনের সদস্যরা। এ সময় র্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়লে দুপক্ষের গোলাগুলি শুরু হয়। গোলাগুলি এখনও চলছে।’
তিনি আরও জানান, র্যাবের অভিযানে এখন পর্যন্ত ৪৩ জন জঙ্গি সংগঠনের সদস্য এবং ১৪ জন কুকিচিন সংগঠনের সদস্যকে আটক করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, সম্প্রতি উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বেচ্ছায় হিজরতের নামে বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হয় ১৯ জেলার ৫৫ তরুণ। তাদের অনেকেই জঙ্গিবাদে জড়িয়ে নতুন করে কথিত হিজরতের নামে ঘর ছেড়ে পাহাড়ি এলাকার আস্তানায় আশ্রয় নেয়। এসব তরুণকে ভারী অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দেয় একটি পাহাড়ি সন্ত্রাসী দল। তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া পাহাড়ি সন্ত্রাসী সংগঠনের নাম ‘কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট’ (কেএনএফ)। বিষয়টি জানার পর গত ১৭ অক্টোবর থেকে জঙ্গি ও সন্ত্রাস নির্মূল করতে অভিযানে নামে র্যাব ও সেনাবাহিনী।