মা হয়তো তাকে ফেলে যায়নি। দরীদ্র সেই মা হয়তো চেয়েছিলো ধনাঢ্য কোন পরিবারে গড়ে উঠুক ,বেড়ে উঠুক তার সন্তান। তবু নিরাপত্তায় বেঁচে থাক । কারণ নির্মমতা দেখতে দেখতে তিনি হয়তো আর পারছিলেন না। তাই চাঁদের কপালে চাঁদ একে সুন্দর পোষাক পরিয়ে এক বিত্তশালী পরিবারের দরজায় ফেলে রেখে চলে যান তিনি। আর বলে যান ‘ আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে”।
মা হারিয়ে গেলো। ছোট্র চোখে পিট পিট করে তাকিয়ে দেখছিলো হাসপাতালের ভীর। মায়ের শরীরের গন্ধ পাচ্ছিলনা শুধু। পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক কবি সাবিনা ইয়াসমিন তাকে কোলে তুলে নিলেন। মায়ের স্পর্শ দিলেন। আশা জেগে উঠলো। এলো এক টুকরো হাসি। কবি বললেন ‘রাজকুমারী । তোমার চিন্তা নাই । আমরা সবাই তোমার পাশে ।’
একদিন অনেক বড়ো হয়ে ফিরে এসো শিশু । আমাদের মাঝে এসো । আর মায়ের কাছে জানতে চেও সেই সত্যিগুলো । দেখবে ইতিহাসের ভেতরে আরও কতো হাসি কান্নার ইতিহাস চুপটি করে বসে থাকে। ঠিক তোমার মতোই ।
প্রাসংঙ্গত : বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) পঞ্চগড় জেলা শহরের কামাতপাড়া এলাকার একটি গলি থেকে এক মাস বয়সী ফুটফুটে এক কন্যা শিশুকে উদ্ধার করে পুলিশ।
খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ জনপ্রতিনিধিরা হাসপাতালে শিশুটিকে দেখতে যান। এ সময় জেলা প্রশাসক (ডিসি) সাবিনা ইয়াসমিন শিশুটিকে কোলে তুলে নেন। তিনি বেশ কিছুক্ষণ শিশুটিকে কোলে করে রাখেন।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন সাংবাদিকদের জানান , কোনো মা যদি নিরাপত্তার অভাবে বা কোনো কারণে শিশুটিকে এভাবে রেখে যায় তবে তা খুবই দুঃখজনক। এই ফুটফুটে শিশুটির ভবিষ্যতকে সুন্দর করা আমাদের দায়িত্ব, রাষ্ট্রের দায়িত্ব আমরা সবাই মিলে এই দায়িত্ব পালন করবো। আমরা চাই শিশুটি তার মায়ের কোল ফিরে পাক।