কৃষিবিদ রঘুনাথ খাঁর ভূল চিকিৎসায় মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েছে সাতক্ষীরা জেলার অবসর প্রাপ্ত সিভিল সার্জন ও সাতক্ষীরা বিএমএ'র সিনিয়র সহসভাপতি ডাঃ মোঃ এবাদুল্লাহ সাহেবের বাড়ির দুটি চায়না থ্রি লিচু গাছ।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়,সদর উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি অফিসার রঘুনাথ খাঁ গত সপ্তাহে ডাঃএবাদুল্লাহ সাহেবের বাড়িতে এসে তার মেঝ ছেলে জিমির দুটি চায়না থ্রি লিচু গাছের পাতা শুকিয়ে যাচ্ছে বলে প্রেসক্রিপশন করে দেন কৃষি ডাক্তার রঘুনাথ খাঁ।
ঐ প্রেসক্রিপশনে লেখা ছিল কপার অক্সিক্লোরাইড ৪ গ্রাম পার লিটার পানিতে মিশিয়ে গাছে স্প্রে করতে হবে। আর ঐ প্রেসক্রিপশনে আরো লেখা ছিল ৫ কেজি জৈব সার +৫০০ গ্রাম জিপ শন স্যার মিক্স করে গাছের গোড়া থেকে ২ হাত দুরে মাটি খুড়ে দিতে বলা হয়। প্রেসক্রিপশন মোতাবেক জিমি তার গাছের গোড়ায় সার দেয় ও গাছের পাতায় স্প্রে করে দুই সপ্তাহে দুই বার। কিন্তু গাছের গোড়ায় ৫০০ গ্রাম জিপশান সার দেওয়া উচিত হয়নি বলে জানিয়েছেন জেলা কৃষি অফিসার আমজেদ হোসেন।ভূল চিকিৎসায় লিচু গাছটি র পাতা দিন দিন শুকিয়ে যাচ্ছে।
গাছের মুমূর্ষু অবস্থার কথা জানানোর জন্য সদর উপজেলার উপ সহকারী কৃষি অফিসার রঘুনাথ খা এর মোবাইল 01716-448269 নাম্বারে ১৫/১৬ বার ফোন দেওয়ার পরেও রঘুনাথ খাঁ গাছের মালিক জিমির ফোনটি রিসিভ করেন নি। এবিষয়ে গাছের মালিক জিমি প্রতিবেদক কে বলেন, লিচু গাছ দুটি গত বৎসর লাগিয়েছিলাম আমি খুব পরিচর্যা করি গাছ দুটোর। কিন্তু রঘুনাথ খাঁর ভুল চিকিৎসায় আমার গাছ দুটি মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েছে।
তবে গাছ মারা গেলে গাছের মালিক সাতক্ষীরা থানায় এই কৃষি চিকিৎসকের নামে লিখিত অভিযোগ দেবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
উল্লেখ্য রঘুনাথ খাঁ সাতক্ষীরা সদর উপজেলা কৃষি অফিসে একই কর্মস্থলে প্রায় ৩৩-৩৪ বৎসর যাবৎ কর্মরত আছেন। একই স্টেশনে যুগের পর যুগ চাকুরী করার কারনে তার এমন ড্যাম কেয়ার মনোভাব তৈরি হয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগী রা।
- প্রেস বিজ্ঞপ্তি।