আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এমপি বলেছেন, কে মনোনয়ন পাবে, আর কে পাবে না-তা একমাত্র শেখ হাসিনা ছাড়া কেউ জানে না। কাকে কোন জায়গায় রাখতে হবে দলনেত্রী তা ভালো বোঝে। তবে মনোনয়ন যেই পাক, তিনিই শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থী।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, কে মনোনয়ন পাবে আর কে পাবে না তা একমাত্র শেখ হাসিনা ছাড়া কেউ জানে না। কারণ কাকে কোন জায়গায় রাখতে হবে দলনেত্রী তা ভালো বোঝেন। তবে মনোনয়ন যিনি পাবেন তিনি শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থী। কাজেই নৌকার প্রতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যার প্রার্থীকেই ভোট দিন এবং জয়ী করুন। কারণ সামনের নির্বাচন খুব কঠিন হবে। এ নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করতে অনেক ষড়যন্ত্র করবে বিএনপি।
সোমবার বিকেলে কালীগঞ্জের চুপাইর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শহীদ ময়েজউদ্দিন আহমেদের ৩৪তম শাহাদাতবার্ষিকীর স্মরণসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সমুদ্রের গভীরতা মাপা সম্ভব হলেও জাতির জনকের ভালোবাসার গভীরতা মাপা ছিল অসম্ভব। তারই কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনিই হবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব হবে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করা।
তিনি বলেন, আগরতলা মিথ্যা মামলা দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে চিরতরে শেষ করে দেয়ার চিন্তা ছিল। বঙ্গবন্ধুকে রক্ষা করতে সেই দিন শহীদ ময়েজউদ্দিন সারাদেশে ঘুরে বেড়িয়েছেন। বঙ্গবন্ধু তখন জেলে। সেই অবস্থায় ময়েজউদ্দিনের নেতৃত্বে ফান্ড তৈরি করে আগরতলা মিথ্যা মামলা পরিচালনার ভার নেন তিনি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ভাঙা দলকে জোড়া দিয়ে যারা সুসংগঠিত করেছেন শহীদ ময়েজউদ্দিন তাদের মধ্যে অন্যতম। ওইদিন কেউ ছিল না বিধায় দলের প্রতি নিবেদিত হয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এ জন্যই ঘাতকের হামলায় শহীদ হন ময়েজউদ্দিন।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকির সভাপতিত্বে ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গণি ভূঁইয়ার পরিচালনায় স্মরণসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আখতারুজ্জামান, তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক খগেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ, যুবলীগের সদস্য অধ্যাপক আমজাদ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজ, কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোয়াজ্জেম হোসেন পলাশ ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
সুত্রঃখুলনার কন্ঠ ডটকম।