খুলনার "সেইফ এন সেইভ" কে ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা৷
জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, খুলনা মোহাম্মদ হেলাল হোসেন এঁর নির্দেশনা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইউসুপ আলীর তত্ত্বাবধানে আজ খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় চলমান করোনা ভাইরাস ইস্যু ও উদ্ভুত পরিস্থিতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজার মনিটরিং অভিযান করা হয়।
অভিযানের এক সময় সেইফ এন সেইভ, খুলনায় অত্যধিক মূল্যে পণ্য বিক্রি ও চরম অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি করার অপরাধ ধরা পরে। কেক ও মিষ্টান্ন তৈরির কিচেনে তেলাপোকার অবাধ বিচরণ দেখতে পাওয়া যায়। এক কথায় তেলাপোকার অভায়ারণ্য বলা যায়৷ করোনা ভাইরাস বিষয়ে সচেতনতার সময়েও তারা ওয়াশরুমে কোনো সাবান, হ্যান্ড ওয়াশ রাখার প্রয়োজনীয়তা বোধ করে নি।
এছাড়া পঁচা ও নিম্নমানের ফল বিক্রি করেছে অভিযানের এক সময়।।
এ সকল অপরাধ আমলে নিয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া করোনা ভাইরাসে সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও বড় পরিসরে লোক সমাগম এর আয়োজন করে ২৬ নং ওয়ার্ড কমিশনারের কার্যালয় সংলগ্ন কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের অনুষ্ঠান করায় আজ ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া নিরালার তালুকদার কমিউনিটি সেন্টারে একই অপরাধে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
তাৎক্ষণিকভাবে দুটো কমিউনিটি সেন্টারে উপস্থিত ব্যক্তিদের অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এরপর নগরীর বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা বাজারে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের বাজার মনিটরিং এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
বেশি দামে লেবু, আদা, রসুন বিক্রি করায় সন্ধ্যাবাজারের দুই খুচরা বিক্রেতাকে ৮ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
পাইকারি বাজারের বড় আড়ত সোনাডাঙা ট্রাকস্ট্যান্ড এ অত্যধিক মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করায় দুই ব্যবসায়ীকে মোট ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এরপর ফুলবাড়ি গেইট বাজারে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করায় এক ব্যবসায়ীকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, খুলনার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মিজানুর রহমান ও মোঃ রাশেদুল ইসলাম।
অভিযানে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ সদস্যও অংশ নেয়।