যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসবমুখর পরিবেশে সীমিত কর্মসূচির মধ্যদিয়ে বিভাগীয় শহর খুলনায় আজ (মঙ্গলবার) স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপিত হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনে তোপধ্বনীর মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শুরু হয় এবং সকল সরকারি, আধাসরকারি, বেসরকারি ভবন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, কেক কাটা, আলোকসজ্জা, ফজর নামাজের পর দুই হাজার তিনশ জন কোরআনে হাফেজের এক হাজার দুইশত কোরআন খতম শেষে বঙ্গবন্ধু, মহান মুক্তিযুদ্ধের শহিদ, ১৫ আগস্টের শহিদ এবং করোনাভাইরাস থেকে দেশবাসিকে হেফাজাতের লক্ষ্যে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। সকাল আটটায় বাংলাদেশ বেতার খুলনা কেন্দ্রে অবস্থিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং সার্কিট হাউস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
বাংলাদেশ বেতার খুলনা কেন্দ্রে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন খুলনা মহানগর ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, বিভাগীয় কমিশনার ড. মুঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি ড. খঃ মহিদ উদ্দিন বিপিএম (বার) , পুলিশ কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির পিপিএম,খুলনা পিটিসি কমান্ডন্ট ডিআইজি আব্দুল কুদ্দুস আমিন, অতিরিক্ত ডিআইজি (প্রশাসন) মোঃ হাবিবুর রহমান,অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রাকিবুল ইসলাম,
পিটিসি'র ডেপুটি কমান্ডেন্ট মোঃহাবিবুর রহমান খান,অতিরিক্ত ডিআইজি ক্রাইম এন্ড অপারেশন একেএম নাহিদুল ইসলাম রাহাত, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন খুলনা জেলা পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ বিপিএম,খুলনা আরআরএফ এর পুলিশ সুপার মোছাঃ আসমা খাতুন, অতিরিক্ত পুলিশ ও পদন্নোতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো: আনিচুর রহমাান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ জিয়াউর রহমান,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজিব খান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
এতিম, দুস্থ ও ভবঘুরে কল্যাণ কেন্দ্র, শিশু সদন এবং জেলখানায় বিশেষ খাবার পরিবেশন ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়। বাংলাদেশ শিশু একাডেমির আয়োজনে আলোচনা সভা, বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ এবং দেয়ালিকার মাধ্যমে শিশু ভাবনা প্রকাশের ব্যবস্থা করে।
খুলনা সিটি কর্পোরেশন নগর ভবনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, কেককাটা, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
বিভিন্ন মসজিদে মিলাদ-মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠান এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত ‘পরিচ্ছন্ন গ্রাম-পরিচ্ছন্ন শহর’ কর্মসূচি, দৃশ্যমান স্থানে পোস্টার ও স্যুভেনির প্রকাশ এবং করোনাভাইরাস প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রচারণার চালানো হয়। সন্ধ্যায় শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও সড়কদ্বীপ এবং সরকারি-বেসরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানে আলোকসজ্জা করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর ছবি ও বাণীসমৃদ্ধ বৃহৎ আকারের ব্যানার ও ফেস্টুন দ্বারা খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিস সজ্জিত করা হয় এবং দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ বেতার খুলনা দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করে। স্থানীয় পত্রিকা বিশেষ নিবন্ধ ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে।