এবছর খুলনা জেলায় নয়শ ৯৭টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে রয়েছে খুলনা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় একশ ২৯টি এবং জেলার নয়টি উপজেলায় আটশ ৬৮টি পূজামন্ডপ।
আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের লক্ষে আজ (সোমবার) বিকালে খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে তাঁর সম্মেলনকক্ষে এক প্রস্তুতিমূলক সভায় এই তথ্য জানানো হয়।
সভায় জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, ইতোমধ্যে সকল পূজামন্ডপে প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে পূজা উদযাপন করা হবে। পূজার সময় পটকা বাজি না করা, নামাজের সময় মাইক না বাজানো, উঠতি বয়সী ছেলেদের বেপরোয়া মটর সাইকেল চালানো নিয়ন্ত্রণ, জুয়া বা মাদকের আসর না বসানো, নারীদের ইভটিজিং প্রতিরোধসহ বিভিন্ন বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেন। এছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়ার জন্যও সকল পূজা উদযাপন পরিষদের প্রতি আহবান জানান জেলা প্রশাসক।
সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(বি-সার্কেল) জনাব সজিব খান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইউসুপ আলী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, মহানগর, জেলা ও উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ উপস্থিত ছিলেন।
মহানগরীর আটটি থানায় একশ ২৯টি পূজামন্ডপ রয়েছে। এর মধ্যে সদর থানা ২৫টি, সোনাডাঙ্গা ১১টি, খালিশপুর ১১টি, দৌলতপুর ২২টি, খানজাহান আলী ১১টি, হরিণটানা ৬টি, লবণচরা ১০টি এবং আড়ংঘাটা থানায় ৩৩টি পুজামন্ডপ।
খুলনা জেলার নয়টি উপজেলা আটশ ৬৮টি পুজামন্ডপ রয়েছে। এর মধ্যে বটিয়াঘাটা ১১৮টি, দাকোপ ৮২টি, রূপসা ৭২টি, তেরখাদা ১০৪টি, দিঘলিয়া ৬১টি, ফুলতলা ৩২টি, ডুমুরিয়া ১৯৭টি, পাইকগাছা ১৪৯টি এবং কয়রা উপজেলাতে ৫৪টি পূজামন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।