খুলনা বিভাগীয় বৃক্ষমেলায় এবছর প্রায় ৪১ লাখ টাকা এবং ৪৩ হাজার বনজ, ফলজ, ঔষধি ও শোভার্বধনকারী গাছের চারা বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেলা কর্তৃপক্ষ। বিভাগীয় বৃক্ষমেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ আজ (শনিবার) বিকালে খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) নিশ্চিন্ত কুমার পোদ্দার।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, বৃক্ষ না থাকলে আমরা বেঁচে থাকতে পারতাম না। সব কিছু আমরা বৃক্ষ থেকে পাই। পরিবেশ সংরক্ষণ ও দারিদ্র বিমোচনে বৃক্ষরোপণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরিকল্পিতভাবে গাছ লাগাতে হবে। শুধু গাছ লাগালেই হবে না, সঠিকভাবে এর পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। তিনি বলেন, সামাজিক বনায়ন কার্যক্রমকে আরও বেগবান করতে হবে। পতিত জমিতে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে ভূমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। সুন্দরবন আমাদের এ অঞ্চলকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করে আসছে। সুন্দরবনকে রক্ষা করতে হবে। একটি গাছ কাটলে কমপক্ষে তিনটি গাছ লাগাতে তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম, উপবন সংরক্ষক মোঃ কবীর হোসেন পাটোয়ারী এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক পংকজ কুমার মজুমদার। খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এল এ) মোঃ ইকবাল হোসেন এতে সভাপতিত্ব করেন। স্বাগত জানান বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ বশিরুল-আল-মামুন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন খুলনা নার্সারি মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ বদরুল আলম রয়েল।
উল্লেখ্য, আজ মেলার সমাপনী হলেও কর্তৃপক্ষ আরো তিন দিন বৃক্ষমেলা বৃদ্ধি করেছে।
পরে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার প্রথম স্থান করিম নার্সারি, দ্বিতীয় ডালিয়া এবং তৃতীয় নিউমার্কেট নার্সারি মালিকদের মাঝে সনদপত্র ও ক্রেস্ট বিতরণ করেন। খুলনা জেলা প্রশাসন, সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। প্রধান অতিথি অনুষ্ঠানে চিত্রাংকন ও রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেস্ট ও সনদপত্র বিতরণ করেন।