খুলনার পুলিশ সুপার মোঃ শফিউল্লাহ বিপিএম বলেছেন, পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলাকে গুরুত্ব দিতে হবে। পিতামাতা ও শিক্ষককে শ্রদ্ধা করতে হবে। মাদক থেকে দুরে থাকতে হবে। গুজবে কান দিয়ে নিরীহ মানুষ পিটিয়ে হত্যা করা যাবে না।ছেলেধরা আতংঙ্কের গুজব ছড়িয়ে নিরীহ মানুষকে মারধর প্রতিরোধ করতে সচেতনতামূলক নানা কর্মসূচি পালন করছে স্থানীয় সরকার ও প্রশাসন।দুই দিন ধরে এলাকায় এলাকায় মাইকিং, স্কুলে স্কুলে সচেনতামূলক সভা, শোভাযাত্রার আয়োজন করা হচ্ছে কর্মসূচির অংশ হিসেবে।
সাধারণ অনেক মানুষও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সচেতনতামূলক স্ট্যাটাস দিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
তারা কারও প্রতি সন্দেহ হলে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন।
সারাদেশে ছেলেধরা বিষয়ে যে গুজব চলছে তা রাজনৈতিক চিন্তা ভাবনা থেকে এসেছে। তিনি আরও বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে এক শ্রেনির মানুষ এই গুজব ছড়িয়ে কয়েকটি নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় ফুলতলা রি-ইউনিয়ন মডেল স্কুল এন্ড কলেজে ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের সমন্বয়ে এক সচেতনতামুলক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, ওসি (তদন্ত) উজ্জ্বল কুমার দত্ত, ফুলতলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এস এম মোস্তাফিজুর রহমান, প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ এনামুল ভূঁইয়া, সদস্য মোল্যা হেদায়েত হোসেন লিটু, হানিফ মোহাম্মদ ভূঁইয়া লাকি, শিক্ষক সন্দিপণ রায়সহ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষিকা, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্রছাত্রীবৃন্দ। এরপর বেলা ১২ টায় ফুলতলা বাজার মটর সাইকেল স্ট্যান্ডে পথ সভায় পুলিশ সুপার মোঃ শফিউল্লাহ বি.পি.এম প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সরদার শাহাবুদ্দিন জিপপী, যুগ্ম সম্পাদক এস মৃনাল হাজরা ও আবু তাহের রিপন, আওয়ামীলীগ নেতা কামরুজ্জামান নান্নু, ইউপি চেয়ারম্যান শরীফ মোহাম্মদ ভূঁইয়া শিপলু, যুবলীগ নেতা শহিদুল্লাহ প্রিন্স, শ্রমিক নেতা সনজিৎ বসু প্রমুখ।