খুলনা জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির অক্টোবর মাসের সভা আজ (রবিবার) সকালে জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনের সভাপতিত্বে তাঁর সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।সভায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান বলেন, জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো রয়েছে। মাদকের বিস্তাররোধে পুলিশ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে যেকোন ধরণের অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা প্রতিরোধে পুলিশ তৎপর আছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোন বিতর্কিত বা বিরূপ পোস্ট দেখলে অবশ্যই বিষয়টি পুলিশের নজরে আনতে হবে। পুজাম-পসমূহে স্বেচ্ছাসেবকদের নাম-দায়িত্ব পালনের সময়সহ বিস্তারিত তথ্য রেজিস্ট্রারে সংরক্ষণের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার সোনালী সেন সভায় জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে নির্বিঘœ করতে মেট্রোপলিটন পুলিশ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করছে। নগরীর ১২৪টি ম-পে অনুষ্ঠেয় দুর্গাপূজা ও বিসর্জনের সময় যানজট নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলারক্ষায় পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং পুলিশের বিশেষ টহল থাকবে। যে কোন ধরণের উস্কানি বা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশংকা থাকলে ‘হ্যালো কেএমপি’ অ্যাপের মাধ্যমে তাৎক্ষনিকভাবে বিষয়টি পুলিশকে জানানো যাবে।
সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সবিজুর রহমান সভায় জানান, দুর্গাপূজার সময় সড়ক দুর্ঘটনারোধে কিশোর-তরুণদের বেপরোয়া মোটর সাইকেল চালানোর বিষয়ে আইনশঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীকে সজাগ দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন। এছাড়া প্রতিমা বিসর্জনের সময় নৌকাডুবির ঘটনারোধে সচেতন থাকা দরকার।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, আসন্ন দুর্গাপূজার সময় পূজাম-পে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা স্থাপনের উদ্যোগ নিতে হবে। উৎসবকে নির্বিঘœ করতে পূজাম-পে বিদ্যুতের বিকল্প হিসেবে প্রয়োজনে জেনারেটরের ব্যবস্থা রাখা, প্রতিমা রক্ষণাবেক্ষণ ও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রতিমা বিসর্জনের চেষ্টা করতে হবে। ম-পে নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবকদের পরিচয়পত্র প্রদান ও পরিধান নিশ্চিত করা প্রয়োজন। যেকোন ধরণের অস্থিতিশীলতারোধে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মনিটরিং এর ব্যবস্থা থাকা দরকার। একই সাথে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারদর নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার পরিদর্শন অব্যাহত রাখতে হবে।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মীর আলিফ রেজা সভায় বিগত মাসে খুলনা জেলা ও মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তুলে ধরেন। খুলনা জেলা অধিক্ষেত্রে বিগত সেপ্টেম্বর মাসে ১৭৬টি মামলা দায়ের হয়েছে, যা বিগত আগস্ট মাসে দায়ের হওয়া মামলা সংখ্যার চেয়ে ৭টি বেশি। খুলনা মহানগরী অধিক্ষেত্রে সেপ্টেম্বর মাসে ১৮০টি মামলা দায়ের হয়েছে, যা বিগত আগস্ট মাসে দায়ের হওয়া মামলার চেয়ে ২৪টি কম।
সভায় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।