খুলনা বিভাগের দশ জেলায় এ বছর চার হাজার নয়শত ৭০টি পূজাম-পে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে খুলনায় সর্বাধিক নয়শত ৯৮টি পূজামন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া যশোরে ছয়শত ৭৮টি, মাগুরায় ছয়শত ৫৩টি বাগেরহাটে ছয়শত ৪১টি এবং নড়াইলে পাঁচশত ৮২টি পূজাম-পে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। সাতক্ষীরায় পাঁচশত ৭৮টি, ঝিনাইদহে চারশত ৩৫টি, কুষ্টিয়ায় দুইশত ৪৬টি, চুয়াডাঙ্গায় একশত ১৭টি এবং মেহেরপুরে ৪২টি পূজামন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। ২০১৮ সালে খুলনা বিভাগে চার হাজার আটশত ৪১টি পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে ছিল। অর্থাৎ এবছর ১২৯টি বেশি ম-পে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য, সৌহার্দ্য, শান্তিপূর্ণভাবে ও আনন্দমুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠানের লক্ষে চলমান আইনশৃঙ্খলনা পরিস্থিতি নিয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে তাঁর সম্মেলনকক্ষে বিভাগীয় কোর কমিটির সভায় এই তথ্য জানানো হয়।
কোর কমিটির সভায় পূজাম-পে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন, স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ, সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ, পানি সরবরাহ ও চিকিৎসা সেবাপ্রদান, নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা, প্রয়োজনে সিসি টিভি স্থাপন, উচ্চস্বরে শব্দযন্ত্র ব্যবহার না করাসহ প্রতিমা বিসর্জনের সময় নির্ধারণ(রাত আটটার মধ্যে) ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
সভায় পুলিশ বিভাগসহ খুলনা সিটি কর্পোরেশন ও সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় দপ্তরের প্রতিনিধি, ১০ জেলার জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি ও ১০ জেলার পূজা উদযাপন কমিটির প্রতিনিধিরা অংশ নেন।