দুই হাজার ছাত্রলীগের নেতাকর্মী নিয়ে মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গি বিরোধী প্রচারণার খেলা দেখতে গেলেন সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদেকুর রহমান সাদেক। খেলা উপভোগ কালে স্টেডিয়ামের গ্যালারীতে বসে জয় বংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, একশান - একশান, ডাইরেক্ট একশান ইত্যাদি শ্লোগান দিচ্ছিলেন সাদেকের নেতৃত্বাধীন জেলা ছাত্রলীগ। এসময় শ্লোগানটি রেঞ্জ ডিআইজি কানে পৌছালে রেঞ্জ ডিআইজি জেলা ছাত্রলীলের উদ্যেশ্যে মাইক্রফোন হাতে নিয়ে বলেন আপনারা কথা দেন যে সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগ মাদকের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট এ্যাকশান নেবেন। এসময় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সহ তার নেতৃত্বাধীন দুই হাজার নেতা কর্মীরা রেঞ্জ ডিআইজি কে কথা দেন যে তারা মাদক - জঙ্গি - সন্ত্রাস ও বাল্য বিবাহের বিরুদ্ধে সব সময় এ্যাকশানে যাবেন।
সোমবার বিকেল ৪টায় সাতক্ষীরা ষ্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় পুলিশ সুপার কাপ মহিলা ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা।
খেলায় সাতক্ষীরা জেলা মহিলা দল ও ঝিনাইদহ জেলা মহিলা দল অংশগ্রহন করে। সাতক্ষীরা জেলা দল ৬-১ গোলে ঝিনাইদহ জেলাকে হারিয়ে জয়লাভ করেন।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার যৌথ আয়োজনে পুলিশ সুপার মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে খেলায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি ড.খ.মহিদ উদ্দীন।
উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইলতুৎ মিশ, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, আশাশুনি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বি এম মোস্তাকিম, কলারোয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সিনিয়র সহ-সভাপতি মো.আশরাফুজ্জামান আশু, সাতক্ষীরা জেলা ফুটবল এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইজি.সিরাজুল ইসলাম খান, ফিফা রেফারি তৈয়ব হাসান বাবুসহ আরও অনেকে।
খেলা শেষে বিজয়ী দলের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন প্রধান অতিথিসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা।
খেলায় রেফারির দায়িত্ব পালন করেন মো. নাসিরউদ্দীন। সহকারী ছিলেন আব্দুল গফফার ও আবু ওয়াহেদ বাবলু। চতুর্থ রেফারি ছিলেন মনিরুজ্জামান।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান জানান, মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ বিরোধী প্রচারণার পুলিশ সুপার কাপ মহিলা ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলাটি দেখা ও খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি মহাদয়ের আগমনে অনুষ্ঠাণকে সফল করার জন্য ছাত্রলীগের দুই হাজারেরও অধিক নেতাকর্মী নিয়ে যোগদান করা হয়েছে। আমরা সকলেই দর্শক সারিতে খেলাটি উপভোগ করেছি।