যশোর কোতয়ালী থানার মামলা নং- ১২, তারিখঃ ০২/১১/২০১৯ খ্রিঃ, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী-০৩) এর ৯(৩) ধারায় একটি গণধর্ষণের মামলা রুজু হয়।ভিকটিমের মা বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করলে অত্র মামলা রুজু হয়।
গ্রেফতার অভিযান ও উদ্ধারঃ
যশোরের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন পিপিএম এঁর দিক নির্দেশনা মোতাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) জনাব মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, পিপিএম এর তত্বাবধানে কোতয়ালী থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে ইং ০২/০১/২০২০ খ্রিঃ ভোর রাতে খুলনা সোনাডাঙ্গা এলাকা হতে ১নং আসামী ১। আল-আফসান পুস্প (১৫), পিতা- আঃ কুদ্দুছ, সাং- শংকরপুর (গোলপাতা মসজিদ) কে গ্রেফতার করে এবং তার দেয়া তথ্য মতে গোপালগঞ্জ জেলা ও যশোর জেলার কোতয়ালী থানাধীন খড়কি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অদ্য ০৩/০১/২০২০ খ্রিঃ ২.৪৫ ঘটিকার সময় সহযোগী ২। রায়হান (২০), পিতা- আব্দুর রশিদ, ৩। শাকিল (২০), পিতা- সোহরাব হোসেন, উভয়সাং- খড়কি দক্ষিনপাড়া হাজামপাড়া, থানা- কোতয়ালী, জেলা- যশোরদ্বয়কে গ্রেফতার করে তাদের প্রাথমিক স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে ১ম ঘটনাস্থল খড়কি ডাক্তার বাড়ীর পিছনে প্রাচীর ঘেরা মেহগনী বাগান থেকে ধর্ষণের আলামত (ব্যবহৃত কনডম) উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক তদন্তঃ
ধৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদ ও ভিকটিম এর জবানবন্দি মোতাবেক প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, ভিকটিমের সাথে ধৃত ১নং আসামী পুস্প বন্ধুত্ব গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে গত ০১/১১/২০১৯ খ্রিঃ রাত ১০.০০ ঘটিকার সময় মটর সাইকেল যোগে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে ফুসলিয়ে ও প্রলোভন দেখিয়ে ১ম ঘটনাস্থল খড়কি ডাক্তার বাড়ীর পিছনে প্রাচীর ঘেরা মেহগনী বাগানে নিয়ে ভিকটিমকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে মদ পান করিয়ে ১নং আসামী পুস্প সহ ০৫ জন (পুস্প, রায়হান, শাকিল, রবিউল, শাহদিয়া) পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এরপর ভিকটিমকে ১নং আসামী পুস্প তাদের দুজনেরই কমন বন্ধু ৬২ লোন অফিস পাড়াস্থ ভাগ্নে হৃদয়ের ভাড়া বাসায় দিয়ে যায়। সেখানেও ভিকটিম সারারাত থাকে এবং অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকে। এজাহারের বর্ণনা অনুযায়ী জানা যায়, ২য় দফায় পুস্প, হৃদয়, ভাগ্নে মামুন, ন্যাটা মামুনগন ভিকটিমকে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষন করে। পরের দিন ০২/১১/২০১৯ তারিখ সকাল ৯.০০ ঘটিকায় পলাতক আসামী হৃদয়, ভাগ্নে মামুন ও ন্যাটা মামুন ভিকটিমে নিয়ে পৌর পার্কে গেলে সেখানে ভিকটিম অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সংক্রান্তে পরবর্তীতে বর্ণিত মামলাটি রুজু হওয়ার পর পুলিশ তদন্ত করতে থাকে এবং এরই প্রেক্ষিতে উপরোক্ত অভিযানটি পরিচালিত হয়।