মহান স্বাধীনতা দিবস (২৬ মার্চ) ভোর ৪টা থেকে সর্বোচ্চ সকাল ৭টা পর্যন্ত নয়ারহাট থেকে আমিনবাজার রাস্তা সর্বসাধারণের জন্য বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। একই সঙ্গে ২৫ ও ২৬ মার্চের সব অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। নাশকতা কঠোরভাবে দমন করা হবে। গোয়েন্দা নজরদারি থাকবে বলে জানান তিনি।
বুধবার (১৬ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস এবং ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২২ উদযাপনের লক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ও ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কোনো ধরনের নাশকতা কঠোরভাবে দমন করা হবে। গোয়েন্দা নজরদারি থাকবে।
মহান স্বাধীনতা দিবসের দিন নয়ারহাট থেকে আমিনবাজার ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তায় ভোর ৪টা থেকে সব ধরনের যানবাহন, শুধু যেসব অতিথি পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে যাবেন তাদের যানবাহন ছাড়া সব যান চলাচল বন্ধ থাকবে। এটা ভোর ৪টা থেকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী যতক্ষণ সেখানে থাকবেন এবং বিদেশি অতিথিরা না যাওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। সর্বোচ্চ ৭টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
এদিন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের সড়ক পথে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে গমন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং প্রত্যাবর্তনকালীন সর্বোচ্চ সতর্কতা, নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমাদের বীরশ্রেষ্ঠ পরিবারের সদস্য, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধাগণের পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শৃঙ্খলা রক্ষাসহ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
তিনি বলেন, বিদেশি কূটনৈতিকদের সাভার স্মৃতিসৌধে আনা নেওয়ার সময় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রণয়ন করা হবে। রাজনৈতিক দলের নেতারাসহ সাধারণের পুষ্পস্তবক অর্পণ কালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিভাগ-জেলা পর্যায়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ সব আয়োজনে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার ব্যবস্থা করা হবে।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ২৬ মার্চ ঢাকা হতে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ সহ বিভিন্ন রাস্তাঘাটের প্রয়োজনীয় মেরামত করতে হবে। ২৫ ও ২৫ মার্চ আয়োজিত সব অনুষ্ঠানে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা থাকবে। সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধসহ সব গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানস্থলে প্রয়োজনীয় জনবলসহ অগ্নিনির্বাপক গাড়ি-এ্যাম্বুলেন্স নিয়ে ফায়ার সার্ভিস জরুরি সারা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকবে। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য মেডিক্যাল টিমও প্রস্তুত থাকবে।
এছাড়া দেশের সব হাসপাতাল, শিশুপরিবার, বৃদ্ধাশ্রম, ভবঘুরে কেন্দ্র ও এতিমখানায় উন্নত খাবার সরবরাহ করা হবে। ২৫ ও ২৬ মার্চের সব আয়োজনে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে।
সভায় জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মো: আখতার হোসেন,পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল ড.বেনজীর আহমেদ বিপিএম-বার, ডিএমপি কমিশনার মোহা শফিকুল ইসলাম,র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন সহ ঢাকাস্থ বিভিন্ন ইউনিট প্রধানগণ উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন।