গবাদি পশুর ক্ষুরা রোগ প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সাতক্ষীরা সদর উপজেলাধীন প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দের সমন্বয়ে বিশেষ সভা আয়োজন করা হয়।বুধবার দুপুরে উপজেলা পরিষদের ডিজিটাল কর্ণারে অনুষ্ঠিত এ বিশেষ সভায় আলোচিত বিষয় ও গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ:
১. সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় আজ পর্যন্ত ক্ষুরারোগে আক্রান্ত গরুর সংখ্যা ১ হাজার ৬ শ ৭২
২.অত্র উপজেলায় সরকারিভাবে প্রাপ্ত টিকা ৪ হাজার যা ইতোমধ্যে প্রয়োগ করা হয়েছে। নতুনভাবে ২ হাজার টিকা আজ পাওয়া গেছে যা জরুরিভিত্তিতে প্রয়োগ শুরুর জন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রতিটি সরকারি টিকার মূল্য ১০ টাকা।
২. বেসরকারিভাবে টিকার মূল্য কোম্পানিভেদে ৫০-৭০ টাকার মধ্যে। কোনভাবে কেউ যাতে এর চেয়ে বেশি দামে বেসরকারি টিকা ক্রয়-বিক্রয় না করে।
৩. ৫ মাস পর পর টীকা দিতে হয়, অনেক খামারী জেনে না জেনে টিকা প্রয়োগে আগ্রহ দেখান না, যা অসচেতনতার প্রকাশ।
৪. ক্ষুরারোগ প্রতিরোধে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার নেতৃত্বে ৫ টি মেডিকেল টীম গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি টীমকে আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
হটলাইন: 01712708928
৫. ক্ষুরা রোগ ভাইরাসজনিত হওয়ায় বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায়। বিধায় ক্রয়/বিক্রয়কৃত নতুন গরু ১৫ দিন আলাদা স্থানে রাখা।
৬. ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের স্বল্প সুদে, সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা কৃষি ঋণ কমিটির দৃষ্টি আকর্ষণ।
৭. চোরাই পথে ভারত থেকে গরু আমদানি বন্ধ করতে পুলিশ বিভাগ এবং বিজিবি'র দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ।