গাড়ি ভাড়ার অ্যাপের বদলে চুক্তিতে বা ‘খ্যাপে’ না যেতে যাত্রীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ। চালকদেরকেও একই পরামর্শ দিয়েছে তারা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, এটি দুই পক্ষের জন্যই ঝুঁকি তৈরি করে।
চুক্তিতে ভাড়া করে চালককে খুন করে বাইক ছিনতাইয়ের ঘটনায় সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানতে সংবাদ সম্মেলনে এই আহ্বান আসে গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে।
গত ২৫ আগস্ট মধ্যরাতে মালিবাগ ফ্লাইওভারের সবচেয়ে উঁচু তলায় চালক মোহাম্মদ লিমনকে খুন করে বাইক নিয়ে চলে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক সপ্তাহ তদন্ত শেষে পুলিশ গ্রেপ্তার করে সন্দেহভাজন খুনি নুর উদ্দিনকে। উদ্ধার করা হয় লিমনের মোটর সাইকেল ও মোবাইল ফোন।
সোমবার এ বিষয়ে বিস্তারিত সংবাদ সম্মেলন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আবদুল বাতেন। এ সময় তিনি খ্যাপে না যেতে যাত্রী ও চালকদের অনুরোধ করেন।
বাতেন বলেন, ‘অ্যাপসের মাধ্যমে যাত্রী পরিবহন নিরাপদ। কন্ট্রাকে না যেয়ে অ্যাপসের মাধ্যমে রাইড শেয়ার করা উত্তম। সেজন্য সকল নগরবাসীকে সচেতন হয়ে পথ চলতে হবে।’
২০১৬ সালের মোবাইল অ্যাপভিত্তিক গাড়ি ও মোটর সাইকেল সেবা চালু হয় ঢাকায়। অ্যাপে নিবন্ধন করলে যাত্রী ও চালকের পরিচয় নিশ্চিত থাকে। ফলে এক ধরনের নিরাপত্তাবোধ নিয়ে চলা যায়।
কিন্তু ইদানীং বিশেষ করে অ্যাপের মোটর সাইকেল চালকরা অ্যাপে না গিয়ে চুক্তিতে যাত্রী বহন করছেন। এটা দুই পক্ষের জন্যই ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ, কে কার বাইরে উঠছেন, তার কোনো প্রমাণ থাকছে না। চালকবেশি ছিনতাইকারী যেমন যাত্রীর ক্ষতি করতে পারেন, তেমনি যাত্রীবেশী ছিনতাইকারী ক্ষতি করতে পারেন চালকের।
কিন্তু অ্যাপে ‘পোষায় না’ বলে সিএনজিচালকদের ‘রোগ’ বাইকারদের মধ্যেও ভর করেছে। এবং এ নিয়ে নিরাপত্তাহীনতার যে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল, তারই একটি নমুনা দেখা গেল মিলন হত্যার মধ্য দিয়ে।
গোয়েন্দা পুলিশ জানাচ্ছে, ওই রাতে রামপুরার আবুল হোটেলের সামন থেকে নুর উদ্দিনকে বাইকে তোলেন মিলন। ভাড়া ঠিক হয় ৫০ টাকা। অ্যাপে যাত্রাপথ ঠিক হলে নুরের পরিচয় জানা যেত আগে থেকেই। কিন্তু যেহেতু ভাড়াটি চুক্তিতে ঠিক হয়েছিল, তাই
তার পরিচয় বের করতে গলদঘর্ম হতে হয় তদন্তে জড়িতদের।