তিনি আজ মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় ভূমিহনীনদের জন্য নির্মিত কবরস্থানের ফলক উন্মোচন শেষে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, মানুষ মৃত্যুবরণ করার পর শেষকৃত্যটা তার ধর্মীয় অধিকার, এটি তার অবিচ্ছেদ্য মানবাধিকার এবং তার পরিবারের নৈতিক কর্তব্য বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। তিনি বলেন, দেশে অভাবনীয় উন্নতি হয়েছে, এরকম একটি উন্নত দেশে মানুষের মৃত্যু হবে, আর তার কবরের জায়গা নেই। এমন সংবাদে স্ত্রীর অনুপ্রেরণায় লক্ষ্মীপুরে ভূমিহীন মানুষের জন্য এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা নেয়া হয়েছে।
জেলা পুলিশের আয়োজনে সদর উপজেলার চরমনসা এলাকায় এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলিন, বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) এর সভানেত্রী জীশান মীর্জা। উপস্থিত ছিলেন, চট্রগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান প্রমুখ।
এর আগে আইজিপি’র নিজস্ব অর্থায়নে ২৯ শতক জমিতে নির্মিত কবরস্থান ও মসজিদেন নামফলক উন্মোচন করেন পুলিশ প্রধান। পরে বৃক্ষ রোপণ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, মেঘনা নদীর ভাঙ্গণের শিকার হয়ে রামগতি ও কমলনগরের প্রায় দুই হাজার পরিবার স্থানীয় বিভিন্ন সড়কের পাশে আশ্রীত আছেন। এসব পরিবারের কোন জায়গা-জমি না থাকায় কেউ মারা গেলে তাদের দাফনের ক্ষেত্রে বিপাকে পড়তেন তারা। একই সঙ্গে মসজিদ না থাকায় নামাজ আদায়ে বিঘ্নতা ঘটতো মুসল্লীদের। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারের পর আইজিপি’র নজরে আসে। পরে তার নির্দেশনায় ও নিজস্ব অর্থায়নে কবরস্থানসহ মসজিদ নির্মাণ করা হয়।