“চাকরীতে যোগদানের জন্য চট্টগ্রাম যাবার দিনে তিনি বাস পরিবর্তন করেছিলেন শুধু পাশে বসা ভদ্রমহিলার সাথে গল্প করতে করতে যাবেন বলে। আজ অস্ট্রেলিয়ার দীর্ঘ যাত্রায় তার পাশে তিনি। ২১ বছর পরে।” তানজিয়া সালমা
গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোখলেসুর রহমান সরকারের স্ত্রী উম্মে সালমা তানজিয়া ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক। তারা দুইজনই জেলা প্রশাসক হিসেবে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন।
গোপালগঞ্জে জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদান করে মোখলেসুর রহমান সরকার জনস্বার্থ সংরক্ষণ, জনসেবা নিশ্চিতকরণ, সরকারি সেবা গ্রহণে জনভোগান্তি ও হয়রানি বন্ধ করা, সরকারি কর্মকাণ্ডে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানো ও নিশ্চিত করা, ভূমি সংক্রান্ত বিষয়ে ডিজিটাইলেজেশন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, সেবাগ্রহীতাদের হয়রানি বন্ধ, সরকারি সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া, সেবার মান উন্নতকরণ নিশ্চিত করা, খাদ্যে ভেজাল, নকল ওষুধ, যাত্রী হয়রানি, মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখা, মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছেন।
জেলার সফল ও সুযোগ্য জেলা প্রশাসক মোখলেসুর রহমান সরকার শুধুমাত্র একজন প্রশাসকই নন, মানবতার জন্য দরদী বন্ধু। ডিজিটাল গোপালগঞ্জ গড়ার পথিকৃৎ হিসাবে ইতিমধ্যে তিনি যুব ও তরুণ সমাজের কাছে একজন জনপ্রিয় ও অনুকরনীয় ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের দ্বারা তিনি প্রতিনিয়ত জেলাবাসীর বড় বড় সমস্যার সমাধান দিয়ে আসছেন। একজন সাধারন মানুষকে ফেসবুকের মাধ্যমে করে নিয়েছেন বন্ধু। তিনি এমন একজন জেলা প্রশাসক যার কাছে সব শ্রেনীর মানুষ আসতে পারেন খুব সহজে । তিনি গোপালগঞ্জের বিভিন্ন অঙ্গনের মানোন্নয়নে যে অতুলনীয় অবদান রেখে চলেছেন তা ভুলা যাবেনা। তার অবস্থানে গোপালগঞ্জের সামগ্রিক কার্যক্রম দ্রুত ও সুষ্ঠুভাবে এগিয়ে চলছে। তিনি তার কর্মজীবনে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার মধ্য দিয়ে গোপালগঞ্জবাসীর মনে স্থান করে নিয়েছেন। গোপালগঞ্জবাসী তাকে আজীবন স্মরণ রাখবেন।
ক্ষুধা-দারিদ্র, নিরক্ষরতা ও সন্ত্রাসমুক্ত, শোষণহীন সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়দীপ্ত দৃঢ় অঙ্গিকারে জেলা প্রশাসক মোখলেসুর রহমান সরকার আরো এগিয়ে যান এই হোক আমাদের প্রত্যাশা।