বাংলাদেশ পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় জুন-২০১৯ মাসের শ্রেষ্ঠ পুলিশ সুপার হিসেবে সম্মাননা ও পুরস্কার লাভ করেছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন। এ নিয়ে তিনি পাঁচবার শ্রেষ্ঠত্বের খেতাব অর্জন করেছেন।
বুধবার ডিআইজি কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) খন্দকার গোলাম ফারুক রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ পুলিশ সুপার মাসুদ হোসেনের হাতে সনদ ও সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন। এ সময় রেঞ্জের ঊর্ধ্বতন অন্যান্য কর্মকর্তা এবং রেঞ্জের সকল জেলার পুলিশ সুপার ও থানার ওসি, এসআই, এএসআই উপস্থিত ছিলেন। এদিকে মহেশখালী থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর রেঞ্জ শ্রেষ্ঠ ওসি হিসেবে একই পুরস্কার লাভ করেন।
উল্লেখ্য, কক্সবাজারে এসপি হিসাবে যোগ দেওয়ার নয় মাসের মধ্যে এ নিয়ে পর পর পঞ্চম বার রেঞ্জ শ্রেষ্ঠ পুলিশ সুপার হন তিনি। এই পদে যোগদানের পর থেকে তিনি ইয়াবা কারবারিদের আতঙ্ক হিসেবে কাজ করেছেন।
পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শতভাগ সুষ্ঠু, অবাধ, গ্রহণযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিয়ে তিনি পুরো জেলায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হন। এছাড়া মহেশখালীতে ৪৩ জন জলদস্যু ও টেকনাফে ১০২ জন চিহ্নিত ইয়াবা কারবারিকে আত্মসমর্পণের অন্যতম কারিগর তিনি।
অপরদিকে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত জেলার ৩৮৬ জন ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবলকে এক টাকা ঘুষ ও হয়রানি ছাড়াই মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়ে প্রশংসা কুড়ান তিনি।
এবিএম মাসুদ হোসেন গত ৪ ফেব্রুয়ারি পুলিশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার সাহসিকতায় বীরত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিপিএম পদক পান। জাতীয় পুলিশ সপ্তাহ ২০১৯ উপলক্ষে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মূল্যবান এই পদক পড়িয়ে দেন এ বি এম মাসুদ হোসেনকে।
প্রতিক্রিয়ায় মাসুদ হোসেন বলেন, ‘এই সম্মাননা প্রাপ্তি ত্যাগ, সততা, সাহস ও ধৈর্যের। এই অর্জন আমার একার নয়, জেলার সকল পুলিশের। এছাড়াও জেলাবাসীর আন্তরিক সহায়তা রয়েছে বলেই এই সম্মাননা।