তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউর আলম চলতি বছরেই খুলনাতে হাইটেক পার্ক নির্মাণ কাজ শুরু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি আজ (শনিবার) সকালে খুলনা সার্কিট হাউস সম্মেলনকক্ষে শিক্ষিত তরুণ-তরুণী ও যুবকদের আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে গ্রহীত ক্যাপাসিটি বিল্ডিং শীর্ষক প্রকল্পের উপকারভোগীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এই প্রতিশ্রুতি দেন।
খুলনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত এই মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি বলেন, খুলনা জেলা তথ্যপ্রযুক্তি খাতের জন্য একটি সম্ভাবনাময় জায়গা। এই অঞ্চলের শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হওয়ার যে স্বপ্ন, তাকে বাস্তবে রূপ দিতে আধুনিক সকল সুযোগসুবিধা সমৃদ্ব করে এই হাইটেক পার্ক নির্মাণ করা হবে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে তরুণদেরকেই নেতৃত্ব দিতে হবে উল্লেখ করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তির নতুন নতুন উদ্ভাবনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে ক্যাপাসিটি বিল্ডিং প্রশিক্ষণের কোন বিকল্প নেই। তাবে কেবল প্রশিক্ষণ গ্রহণ করলেই চলবে না, সেই প্রশিক্ষণকে চর্চা করতে হবে। তিনি প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের ডাটাবেজ তৈরি করে তাদেরকে নিয়মিত মিনিটরিং করার জন্য খুলনা জেলা প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।
মতবিনিময় সভায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত উপকারভোগীদের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণের সময় বৃদ্ধি এবং লজিস্টিক সাপোর্টের জন্য ব্যাংক থেকে সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করার দাবী করা হয়।
উল্লেখ্য, খুলনা জেলা প্রশাসকের নিজস্ব উদ্যোগে বাস্তবায়িতব্য এই প্রকল্পে ফ্রি ল্যান্সিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, সেলাইসহ কয়েকটি ট্রেডে দুই সপ্তাহ মেয়াদী ফ্রি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এ পর্যন্ত মোট তিনশত ৬৫ জন শিক্ষিত তরুণ-তরুণী এই প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছে।
খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শেখ ইউসুফ হারুন, বিএল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কেএম আলমগীর, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আছাদুজ্জামান, মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আলমগীর কবির, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক নার্গিস ফাতেমা জামিন, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম হাবিব এবং খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ মুন্সী মাহবুব আলম সোহাগ।