চুরির আগে ও পরে কর্ভাড ভ্যানের নাম ও রেজিষ্ট্রেশন পরিবর্ত্তন করেও শেষ রক্ষা হলোনা সংবদ্ধ চোরাই সিন্ডিকেটের। গত পহেলা নভেম্বর ২০২০ তারিখ গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ এর জয়দেবপুর সাকিনস্থ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউড এর অপর পার্শ্বে পুরাতন চন্দ্রা সিমেনা হলস্থ বিল্ডিং এ অবস্থিত লোমিনাস এন্টারপ্রাইজ অটো রিক্সা ফ্যাক্টরি হইতে ২২টি অটো রিক্সার পূর্নাঙ্গ পার্টস রাজবাড়ী জেলাস্থ অটো রিক্সা ফ্যাক্টরী ডিলালের নিকট পৌছাঁনোর জন্য বনফুল ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি এর মাধ্যমে একটি কাভার্ড ভ্যান ভাড়া করা হয়।
পুলিশ জানায়, চালক পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ভূয়া রেজিষ্ট্রিশন নাম্বার লাগাইয়া কাভার্ড ভ্যান এর গায়ে “নিউ বাংলাদেশ কার্গো লিমিটেড" লিখিয়া, চোরাই কাজে ব্যবহৃত সীম ব্যবহার করিয়া এবং ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যবহার করিয়া অটো রিক্সা ভর্তি কাভার্ড ভ্যান রাজবাড়ীর দিকে না যাইয়া অজ্ঞাত স্থানে নিয়া যায়। এ বিষয়ে পূবাইল থানার মামলা নং-০১, তারিখ-০২/১১/২০২০ খ্রি: ধারা-৪০৩/৪০৭ পেনাল কোড রুজু করা হয়।
পরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবিরের নির্দেশে ও উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ)মোহাম্মদ ইলতুৎমিশ এঁর নেতৃত্বে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (নি:) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ও এসআই (নি:) মোঃ জামিল উদ্দিন কর্তৃক বিভিন্ন সূত্র ধরিয়া এবং তথ্যের ভিত্তিতে ড্রাইভার মোঃ শামীম কে দাউদকান্দি, কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানায়, তাকে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদে, সে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এই মালামাল আত্নোসাৎ করার কথা স্বীকার করে এবং তার দেখানো মতে নোয়াখালী এর সুধারাম মডেল থানা এলাকা হইতে আত্নোসাৎকৃত অটো রিক্সাগুলি সহযোগীসহ উদ্ধার করিয়া থানায় আনা হয়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি ক্রাইম সাউফ মোহাম্মদ ইলতুৎ মিশ সাংবাদিকদের জানান,আটককৃত ড্রাইভার ইতিপূর্বে একইভাবে আরো চুরি করিয়াছে এবং তাহার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় বেশ কয়েকটি মামলা রহিয়াছে বলিয়া সে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়। সে আরও জানায় ব্যবহৃত কাভার্ড ভ্যানটির গায়ে চুরি করার পর উক্ত নাম্বারটি মুছিয়া নতুন নাম লিখে। উক্ত চুরির পূর্বে এই কাভার্ড ভ্যানটির নাম লিখা ছিল শিরিন পরিবহন। এটি একটি সংবদ্ধ চোরাইদল।
ডিসি ইলতুৎমিশ আরো জানান, এদের অন্যান্য সহযোগীদের আটক করার জন্য অভিযান অব্যহত রয়েছে।