★★★★
সিটিজেন জার্নালিষ্ট(জিমি):
ঢাকায় নিহত ছাত্রদল নেতা জাকির হোসেন মিলনের পরিবারের অভিযোগ ইঙ্গিত করে জাকির পুলিশের হেফাজতে মারা যায়নি বলে দাবি করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। তিনি বলেন, চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে। পুলিশি হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পুলিশি হেফাজতে যদি কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটে, তাহলে রুলস অ্যান্ড রেগুলেশন অনুযায়ী জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে খুলনার বয়রাস্থ পুলিশ লাইনস মাঠে মহানগর বিট পুলিশিং কার্যক্রম উদ্বোধন এবং মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী সুধী সমাবেশে বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন।
পুলিশ প্রধান আরও বলেন, মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ সামাজিক সমস্যা। এসব সমস্যা সামাজিকভাবেই মোকাবিলা করতে হবে। সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে নিয়ে তিনি সুধী সমাবেশ করছেন। পুলিশের সব ইউনিট কর্মকর্তাদের সঙ্গেও আলাপ-আলোচনা করা হচ্ছে। এসব কিছুর মধ্য দিয়েই মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে কর্মপন্থা নির্ধারণ করা হবে। মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ একটি ফোর্স হিসেবে কাজ করে। কিন্তু এটি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে হলে পরিবার, সমাজ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সব সামাজিক সংগঠনকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। এভাবে সমাজের সবাই এগিয়ে এলে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা সফল হতে পারব।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মো. হুমায়ুন কবির এর সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক এমপি, খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজান, বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া, রেঞ্জ ডিআইজি মো. দিদার আহম্মদ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ,কেএমপি'র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রাকিবুল ইসলাম,খুলনা জেলা প্রশাসক মো. আমিন উল আহসান ও পুলিশ সুপার জনাব নিজামুল হক মোল্যা। এছাড়াও সমাবেশে মহানগর কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সভাপতি ডা. একেএম কামরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ সৈয়দ আলী, জেলা সভাপতি মকবুল হোসেন মিন্টু, এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।