ইসলামিক ফাউন্ডেশন, চুয়াডাঙ্গা জেলা কর্তৃক আয়োজিত মসজিদের ইমাম, খতিব, ও আলেম ওলামাদের অংশগ্রহণে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ প্রতিরোধ এবং সামাজিক সমস্যা নিরসনকল্পে ধর্মীয় নেতাদের ভূমিকা র্শীষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা ইসলামিক ফাউন্ডেশন জেলা কার্যালয়ের নিজেস্ব মিলনায়তনে গতকাল ২৭.০৪.২০২২ খ্রিঃ সকাল ০৯:৩০ ঘটিকায় মুহাম্মদ আশরাফ আলী, উপ পরিচালক, ইসলামী ফাউন্ডেশন, চুয়াডাঙ্গার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ জাহিদুল ইসলাম, বিপিএম-সেবা, পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার বলেন, ইসলামে জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই। ইসলাম ও জঙ্গিবাদ বিপরীতার্থক শব্দ। ইসলামের সাথে জঙ্গিবাদের কোনো সম্পর্ক নেই। শুদ্ধ সমাজ বিনির্মাণে আলেম-ওলামারা মুখ্য ভূমিকা করতে পারেন এবং তা করছেন। সমাজে আজকে যে শান্তি স্থিতিশীলতা রয়েছে এতে ইমামাদের ভূমিকা আছে। দেশে ধর্মীয় উন্মাদনা তৈরি করে কেউ যেন কোনোভাবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে না পারে, এবিষয় ধর্মীয় ও সামাজিক নেতা হিসেবে ইমাম ও খতিবদের সজাগ ও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি আরোও বলেন, ইসলাম শান্তি, মানবতা ও কল্যাণের ধর্ম। এতে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদসহ যে কোন ধরনের চরমপন্থি ও উগ্রবাদ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। কোরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে-“যে কেউ প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ অথবা পৃথিবীতে অনর্থ এবং সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করার অপরাধ ছাড়া কাউকে হত্যা করল, সে যেন দুনিয়ার সকল মানুষকেই হত্যা করল, আর যে কারও জীবন রক্ষা করল সে যেন দুনিয়ার সকল মানুষের জীবনই রক্ষা করল।” (মায়েদাহ : ৩১২)। পরিশেষে তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাসমুক্ত সোনার বাংলা বিনির্মানে সমাজের সর্বস্থরের সকলের সহযোগীতা কামনা করেন।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ জিমি, সিটিজেন জার্নালিস্ট, সাতক্ষীরা।
Copyright © 2024 Update Satkhira. All rights reserved.