কথা রেখেছেন পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক ড. সাবিনা ইয়াসমিন।শনিবার তিনি তাঁর ব্যক্তিগত ফেইজবুক আইডিতে লিখেছেন....
আলহামদুলিল্লাহ।
কথা দিয়ে কথা রাখতে পেরেছি। এজন্য মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। কৃতজ্ঞতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।
মুজিব বর্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার দুই শতক জমি সহ গৃহ পেলেন পঞ্চগড় পৌরসভার ৪৫টি পরিবার।
আশ্রয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা এই বাড়ি ইউনিয়ন পর্যায়ে নির্মিত হচ্ছে। কিন্তু বিশেষ বিবেচনায় নদী অবৈধ দখলমুক্ত করার লক্ষ্যে উচ্ছেদকৃত কিছু পরিবারের জন্য পৌরসভার মধ্যে এই গৃহের বরাদ্দ প্রদান এর জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়।
প্রস্তাবটি বাস্তবায়ন এ সহায়তা করার জন্য বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সম্মানিত সচিব জনাব মোঃ তোফাজ্জেল হোসেন মিঞা স্যার, আশ্রয়ন প্রকল্পের সম্মানিত প্রকল্প পরিচালক জনাব মোঃ মাহবুব হোসেন স্যার Mahbub Hossain স্যার, রংপুর বিভাগের সাবেক বিভাগীয় কমিশনার, জনাব মোঃ তরিকুল ইসলাম স্যার, বর্তমান বিভাগীয় কমিশনার জনাব মোঃ আঃ ওয়াহাব ভূঞা স্যার, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের ডিজি এডমিন জনাব আহসান কিবরিয়া সিদ্দিক স্যার, মুজিব বর্ষ উদযাপন কেন্দ্রীয় প্রস্তুতি কমিটির সদস্য জনাব নাইমুজ্জামান মুক্তা সহ সকলকে।
বিশেষ কৃতজ্ঞতা মাননীয় রেলমন্ত্রী এডভোকেট মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন এমপি, মাননীয় সংসদ সদস্য মোঃ মাজহারুল হক প্রধান এমপি তাঁদের সুচিন্তিত পরামর্শ প্রদান এর জন্য। সার্বক্ষণিক পাশে থেকে সহযোগিতা করেছেন পুলিশ সুপার পঞ্চগড় মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান, সদর মোঃ আমিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুল মান্নান, তৎকালীন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাইমুল হাসান, তৎকালীন ইউ এন ও গোলাম রব্বানী, বর্তমান ইউ এন ও আরিফ হোসেন , সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ আমিনুল ইসলাম, তৎকালীন মেয়র, কাউন্সিলর সহ এলাকার সাংবাদিক ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে।
বিশেষ কৃতজ্ঞতা ভূমি মন্ত্রণালয় এর সম্মানিত সচিব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান পি এ এ স্যারকে, তিনি পঞ্চগড় ভিজিট এর সময় এই স্থানটি পরিদর্শন করেন এবং তাঁকে এখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে জানালে তিনি সাথে সাথে প্রকল্প পরিচালক স্যারকে গৃহ বরাদ্দের জন্য অনুরোধ করেন এবং আমাকেও ভূমি বন্দোবস্তের জন্য প্রতিশ্রুতি দেন।
দেড় বছরের প্রচেষ্টার পর বরাদ্দ পত্রটি (৪৫টি পরিবারের জন্য ৯০লক্ষ টাকা) যখন পেলাম, তখন আমার পঞ্চগড় ছেড়ে যাবার সময় এসেছে।
কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ। এই কাজটি শুরু করে যেতে পারছি। অনেক স্মৃতি এই মানুষগুলির সাথে। অল্প সময়ের মধ্যেই তাঁরা পাকা ঘরে থাকবেন, তাদের সন্তানদের ভালো পরিবেশ এ বসে পড়াশোনা করার সুযোগ হবে, ভাবতে ভালো লাগছে। তাদের বর্তমান অবস্থার ছবি এবং যে বাড়ি তারা পেতে যাচ্ছেন, তারও একটা ছবি পাশে দিলাম। (যেহেতু দেশজুড়ে একই ডিজাইনে বাড়ি হচ্ছে, তাই অন্য জায়গার একটি ছবি দিলাম)।
ভালো থাকুন তুলারডাঙা এলাকার পুনর্বাসিত মানুষেরা, ভালো থাকুন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।