মুজিব বর্ষ উপলক্ষে জাতীয় সংসদে চলছে বিশেষ অধিবেশন। এ অধিবেশনের মধ্যেই সংসদ সচিবালয়ের উদ্যোগে জাতির পিতার স্মরণে ‘স্মারক ডাকটিকিট’ উদ্বোধন অনুষ্ঠান।
করোনা মহামারির ভেতর ‘স্মারক ডাকটিকিট’ উদ্বোধনের অনুষ্ঠানটি সীমিতভাবে সংসদ সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রীর কক্ষে করার সিদ্ধান্ত হয়। এ সিদ্ধান্ত মোতাবেক বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কক্ষে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ড. জাফর আহমেদ খান একত্রিত হন।
আর এ সময়েই বিরল এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। তার নিজের জন্য রাখা চেয়ারটিতে তিনি স্পিকারকে বসার অনুরোধ জানান। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই সংসদ হলো স্পিকারের এবং স্পিকার হলো সংসদের প্রধান।’
এ ঘটনায় রীতিমতো সবাই অবাক হলেও একটি প্রতিষ্ঠান ও তার প্রধানের প্রতি সম্মান জানাতেই নিজের অনন্য এ উদারতা প্রদর্শন করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। মানুষের প্রতি তার সম্মান ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখতে সদা তৎপর প্রধানমন্ত্রীর এমন ঔদার্য্য আরও একবার দেখলেন সংসদ সচিবালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
অবশ্য প্রধানমন্ত্রীর মানুষকে সম্মান জানানোর নজির এবারই প্রথম নয়। অতীতেও বহুবার একই চেহারায় দেখা গেছে প্রধানমন্ত্রীকে।
সূত্র মতে, পরে প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে স্পিকার সেই চেয়ারটিতে বসেন। এবং সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তারা স্পিকারের পাশে চেয়ার নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বসানোর ব্যবস্থা করেন।
সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরীসহ উপস্থিত অনেকেই কালের আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমার এই সিংহাসন মার্কা চেয়ার ভালো লাগে না, আমি সাধারণ মানুষ সাধারণভাবে থাকতে চাই।’
আদতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমনই, একেবারেই সাদামাটা। কখনোই দামি ব্র্যান্ডের কাপড় পরেন না। প্রসাধনীও ব্যবহার করেন একেবারেই সাধারণ। পাটের জুতা ও ব্যাগ ব্যবহার করেন। জামদানির মতো দামি শাড়ি পরলেও সেটার দাম ছয় হাজারের মধ্যে। যা স্পর্শ করেন তাই তাঁর হাতের ছোঁয়ায় সোনা হয়ে যায়।
আর স্পিকার ড.শিরীন শারমিন চৌধুরীকেও নিজের মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের মতোই স্নেহ করেন প্রধানমন্ত্রী। সব মিলিয়ে দেশের মানুষের প্রতি পিতা মুজিবের মতোই গভীর মমত্ববোধ ও অফুরান ভালোবাসার কারণেই আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তার অধিকারী হয়েছেন শেখ হাসিনা। গড়েছেন হ্যাট্টিক প্রধানমন্ত্রীর ইতিহাসও।