মহামারি করোনাভাইরাসের টিকা ইতিমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রয়োগ করা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশও আগামী জানুয়ারির শেষ কিংবা ফেব্রুয়ারির শুরুতে টিকা পাবে। প্রথম দফায় আসছে তিন কোটি টিকা। পরে জুন মাসের মধ্যে আরও ছয় কোটি টিকা আসবে। দুই দফা মিলিয়ে মোট সাড়ে চার কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া যাবে। প্রতিজনের জন্য লাগবে দুটি করে টিকা।
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। গণভবন থেকে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরা সচিবালয় থেকে বৈঠকে যোগ দেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, প্রথম দফায় আসছে তিন কোটি ডোজ। দ্বিতীয় দফায় আসবে অক্সফোর্ডের আরও ছয় কোটি টিকা। দুই দফার মিলিয়ে মোট নয় কোটি টিকা সাড়ে চার কোটি মানুষকে দেওয়া যাবে।
সচিব বলেন, ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি আশা করছেন জানুয়ারির শেষ বা ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে ভ্যাকসিনের প্রথম চালান পেয়ে যাব। এ জন্য তৃণমূল পর্যন্ত সবাইকে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়েছে। ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য যেসব জিনিস ব্যবহার করা হবে সেগুলো কীভাবে ডিসপোজাল করা হবে সেইপ্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। টিকা দেওয়া কার্যক্রমে বেসরকারি খাতকে অন্তর্ভুক্ত করা যায় কি না, তা নিয়েও আলোচনা করছেন।’
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘ইপিআইয়ের (টিকা কার্যক্রম) যে ব্যাপক কার্যক্রম আছে, সরকার করোনার টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে সেটি ব্যবহার করতে চাচ্ছেন, বিভিন্ন হাসপাতালে ব্যবহার করতে চাচ্ছেন, প্রাইভেট সেক্টরকে ব্যবহার করতে চাচ্ছেন।’
আপাতত অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় চিন্তা করছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। যদি অন্য কেউ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদনসহ প্রস্তাব নিয়ে আসে, সরকার কাউকে ‘না’ করবে না। এ-সংক্রান্ত যে কমিটি আছে তারা অ্যাপ্রুভ করবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে সচিব বলেন, ৬ কোটি ভ্যাকসিন কোভেক্সের মাধ্যমে মে-জুন মাসের মধ্যে আসবে। এক মাস আগে-পরে হতে পারে। প্রথম দফায় যে তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন আসার কথা, তার মধ্যে দেড় কোটি ডোজ আসছে। দুই দফায় ২০ শতাংশ মানুষকে অর্থাৎ সাড়ে চার কোটি মানুষকে টিকা দেয়া যাবে বলে জানান সচিব।
গতকালের মন্ত্রিসভার বৈঠকে কুড়িগ্রাম জেলায় ‘কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়’ করার জন্য আইনের খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়। এছাড়া একাদশ জাতীয় সংসদের আসন্ন নতুন বছরের প্রথম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি যে ভাষণ দেবেন, তার খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বাংলাদেশ গুড অ্যাগ্রিকালচারাল প্র্যাকটিস নীতিমালাও অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।