রায়হান হোসেন: আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কে কেন্দ্র করে ভোটার কে কেনার চেষ্টাকালে জাল টাকা সহ বিএনপির দুই জন এ্যাজেন্ট কে আটক করেছে আশাশুনি থানা পুলিশ।থানা পুলিশের বিশেষ সুত্র জানায়, সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার জনাব মোঃ সাজ্জাদুর রহমান এর দিক নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ ইলতুৎ মিশ, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার, দেবহাটা সার্কেল জনাব শেখ মোঃ ইয়াছিন আলী এবং আশাশুনি থানার সুযোগ্য অফিসার ইনচার্জ জনাব বিপ্লব কুমার নাথের নেতৃত্বে আশাশুনি থানা এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন সাব-ইন্সপেক্টর শ্যামল মন্ডল, সাব-ইন্সপেক্টর মোঃ মঞ্জুরুল হাসান, সাব-ইন্সপেক্টর বিজন কুমার সরকার সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সের সহায়তায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ০৭.৫৫ টার দিকে আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নে অভিযান চালায় পুলিশ।অভিযান চলাকালীন সময় পুলিশের কাছে খবর আসে একদল লোক বড়দল ভোটার কে টাকা দিয়ে কেনার চেষ্টা করছেন ও টাকা বিলি করছেন।উক্ত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযানরত চৌকশ টিমটি সেখানে হামলা করে।পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কিছু লোক সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়।এসময় সেখান থেকে বিএনপির বড়দল ইউনিয়নের নির্বাচনী এজেন্ট মোঃ সামছুর শিকারী, পিতা-মৃত আঃ সাত্তার শিকারী, গ্রাম-গোয়ালডাঙ্গা এবং বিএনপির কুল্যা ইউনিয়নের নির্বাচনী এজেন্ট মোঃ মইনুর রহমান সরদার, পিতা-মোঃ ইসমাইল সরদার, গ্রাম-কচুয়া, উভয় থানা-আশাশুনি, জেলা-সাতক্ষীরা কে জালটাকা সহ হাতে নাতে আটক করতে সক্ষম হয়।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে আশাশুনি থানার ইনচার্জ আপডেট সাতক্ষীরার প্রতিবেদক কে জানান, ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে সাধারন জনগনের মাঝে টাকা বিলি করার সময় নগদ ১০০০/- টাকার ২০ টি জাল নোট সহ গোয়ালডাঙ্গা গ্রাম হইতে হাতেনাতে বিএনপির এজেন্ট কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।তিনি জানান, আটককৃতরা নির্বাচনী আচরণ-বিধির কোন তোয়াক্কা না করেই এমন একটা জঘন্ন তম কাজ করছে।পুলিশ খবর পেয়ে তাদের কে হাতেনাতে জালটাকা সহ আটক করতে সক্ষম হয়।তিনি আরো জানান,ধৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আশাশুনি থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।আগামীকাল তাদের কে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করার মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।