আব্দুর রহমান শুকুর আলী বয়স ২২ কি ২৩ বৎসর।সে ৫-৭ বৎসর হলো শ্যামনগর থেকে সাতক্ষীরা শহরের একাডেমী মসজিদের সামনে অবস্থিত তার মামার দোকান (সফির) হোটেলে আসে কাজ করতে। তার আপন মামা তাকে মামার হোটেলে পানি বওয়ার কাজ দেয়।প্রথমে শুকুর আলীর বেতন ছিলো দিন ৫০ টাকা।আর মাসে ১৫০০ টাকা।
আর মামার হোটেলে থাকা খাওয়া ফ্রি।এক পর্যায়ে শুকুর আলীর বেতন বৃদ্ধি হয়ে দিন ৩৫০ টাকা হয়।সেই ৩৫০ টাকা জমিয়ে জমিয়ে শুকুর আলী কয়েকমাস আগে একটি পালসার ডবোল ডিক্সের বাইক কিনেছে।এর পরে হোটেল মালিক মামা সফি তার নিজের একমাত্র কন্যা কে তার ভাগ্না শুকুর আলীর সাথে বিবাহ দেয়।বিযের এক বৎসর পরে শুকুর আলীর একটি ফুটফুটে ছেলে সন্তান হয়।শুকুর আলী এখনো জামাই সেজে তার মামার হোটেলে কাজ করছে। প্রতিদিন বিকাল হলে শুকুর আলী খুব হাই গেটআপের ড্রেস পরে চোখে সানগ্লাস পরে তার সখের গাড়িটি নিয়ে যে সব রোগে ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি ধরেনা সেসব রোডে ঘুরতে যায়।শুকুর আলীর রুচিশীলতা সত্যিই আমাদের মুগ্ধ করেছে।শুকুর আলীর কাছে এ প্রতিবেদক জানতে চাইলে শুকুর আলী বলেন,আমার বাড়িতে কোনো টাকা পয়সা দেওয়া লাগেনা। আব্বা লোকের ঘেরে কাজ করে। আমি যা বেতন পাই তার সব টাই আমার জমে যায়।শুকুর আলী আরো বলেন,আমি কোনো বিড়ি-সিগারেট খাইনা, আমার কোনো বাজে অভ্যাস নেই।তাই আমার টাকা খরচের কোনো জায়গা নেই। আমার বাজে অভ্যাস হলো দামী জামা-কাপড় কেনা,দাবী ক্যামেরা কেনা, দামী মোবাইল কেনা ইত্যাদি।
পাঠকরা আপনারা চাইলে এই সফল যুবক কে দেখতে আসতে পারেন। মুনজিতপুর একাডেমী মসজিদের সামনে অবস্থিত সাদিয়া হোটেলে এসে নাস্তা করলেই দেখবেন শুকুর আলী আপনাকে নাস্তা পরিবেশন করবে। এ নিউজটি কাউকে ছোট করার জন্য নয়।বরং নিউজটি হলো শুকুর আলীর মত যারা এক সময় জিরো ছিলো তারা যেনো শুকুর আলীর অনুপ্রেরণা নিয়ে হিরো হতে পারেন সেকারনে নিউজ টি করা।
মানুষ ইচ্ছা করলে পারেনা এমন কোনো কাজ নেই। তার বাস্তব প্রমান এই রুচিশীল হোটেল বয় শুকুর আলী।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ জিমি, সিটিজেন জার্নালিস্ট, সাতক্ষীরা।
Copyright © 2024 Update Satkhira. All rights reserved.