নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি চিকিৎসকদের কর্মক্ষেত্রে থেকে যথাযথভাবে মানুষকে সেবা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যথায় তাঁরা চাকরি ছেড়ে দিতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সাতটি সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অ্যাম্বুলেন্সের চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যখন উপজেলা পর্যায়ে চিকিৎসকদের নিয়োগ দিই, তখন অনেকেই আছেন যাঁরা কর্মক্ষেত্রে থাকতে চান না। বরং তাঁরা যেকোনো উপায়েই ঢাকায় থাকেন। যদি চিকিৎসকদের ঢাকাতেই থাকার ইচ্ছা হয়, তাহলে তাঁদের সরকারি চাকরি করার প্রয়োজন নেই। রাজধানীতে বসে প্রাইভেট রোগী দেখে তাঁরা অনেক টাকা উপার্জন করতে পারেন। তাই তাঁদের চাকরি ছেড়ে দিয়ে বাড়িতে চলে যাওয়াই ভালো। আমরা তাঁদের স্থানে নতুন নিয়োগ দেব।’
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য বিভাগের সচিব মো. সিরাজুল হক খান এবং সমাপনী বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ও প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
শেখ হাসিনা মানসম্পন্ন চিকিৎসক তৈরিতে মেডিকেল কলেজগুলোর শিক্ষার মান উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেন। বলেন, এসব মেডিকেল কলেজে কী ধরনের চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হচ্ছে, তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তদারকি করতে হবে। মেডিকেল কলেজগুলোতে ‘রোগী হত্যাকারী ডাক্তার’ নাকি ‘রোগী রক্ষাকারী ডাক্তার’ তৈরি হচ্ছে, তা তাদের দেখতে হবে।
সরকার দেশে অনেকগুলো মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই পাঁচটি সেনানিবাসে মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দিয়েছি এবং পর্যায়ক্রমে অন্যান্য সেনানিবাসেও এ ধরনের কলেজ প্রতিষ্ঠা করব।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে এবং চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে আরও দুটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে।
সূত্রঃ প্রথম আলো নেট।