ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের জানুয়ারি’ ২০২১ মাসে অস্ত্র, মাদক, গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিলসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে নগদ অর্থ ও সনদপত্র প্রদান করা হয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার মোহাঃ শফিকুল ইসলাম বিপিএম(বার) এর সভাপতিত্বে সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১) সকাল ১১.৩০ টায় ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় শ্রেষ্ঠদের পুরস্কৃত করেন ডিএমপি কমিশনার।
সভায় উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে কমিশনার বলেন, আমরা মহামারী করোনার মতো একটি বিশেষ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এমন পরিস্থিতির মধ্যেও পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালন করছে। শুধু পাহারা দিয়ে অপরাধ প্রবণতা কমানো যাবেনা। আমাদের মূল দায়িত্ব অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা। অপরাধের শিকার কারা হচ্ছে, কখন হচ্ছে এবং কি কারনে হচ্ছে তার সঠিক কারণ নির্ণয় করতে হবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত সবাই নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করুন। ঢাকা শহরের অপরাধ প্রতিরোধে সবাইকে আরো নিরলসভাবে কাজ করতে হবে।
জানুয়ারি ২০২১ মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ডিএমপির ০৮টি ক্রাইম বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে মিরপুর বিভাগ। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ক্রাইম বিভাগের সহকারি পুলিশ কমিশনারদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন লালবাগ বিভাগের চকবাজার জোনের সহকারি পুলিশ কমিশনার মোঃ ইলিয়াছ হোসেন। ডিএমপির সকল থানার মধ্যে শ্রেষ্ঠ থানা নির্বাচিত হয়েছে বংশাল থানা। পুলিশ পরিদর্শক তদন্তদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন বংশাল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মীর রেজাউল ইসলাম। পুলিশ পরিদর্শক অপারেশনদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) আয়ান মাহমুদ। শ্রেষ্ঠ এসআই যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন পল্লবী থানার এসআই মোঃ শরীফুল হাসান ও মোহাম্মপুর থানার এসআই লব চৌহান। শ্রেষ্ঠ এএসআই যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন মতিঝিল থানার এএসআই হেলাল উদ্দিন ও পল্লবী থানার এএসআই মোঃ ফেরদৌস রহমান ।
০৯টি গোয়েন্দা বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ। শ্রেষ্ঠ টিম লিডার মধুসূদন দাস, সহকারী পুলিশ কমিশনার, সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ীচুরি প্রতিরোধ টিম, ডিবি-লালবাগ। চোরাই গাড়ী উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার মধুসূদন দাস, সহকারী পুলিশ কমিশনার, সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ীচুরি প্রতিরোধ টিম, ডিবি-লালবাগ। মাদকদ্রব্য উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার মধুসূদন দাস, সহকারী পুলিশ কমিশনার, সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ীচুরি প্রতিরোধ টিম, ডিবি-লালবাগ। অজ্ঞান/মলমপার্টি গ্রেফতারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার তরিকুর রহমান, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, ধানমন্ডি জোনাল টিম, ডিবি-রমনা।
০৮টি ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে ট্রাফিক লালবাগ বিভাগ। শ্রেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার মনতোষ বিশ্বাস, লালবাগ ট্রাফিক জোন। শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মোঃ, সাজ্জাদ হোসেন, বাড্ডা ট্রাফিক জোন। শ্রেষ্ঠ সার্জেন্ট যৌথভাবে সার্জেন্ট মেহেদী হাসান, মোহাম্মদপুর ট্রাফিক জোন, ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগ ও সার্জেন্ট মোঃ আমিনুর রসুল, ডেমরা ট্রাফিক জোন, ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ।
এছাড়াও ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার ৮৯ জন কর্মকর্তাকে পুরস্কৃত করেন ডিএমপি কমিশনার। বিশেষ ক্যাটাগরিতে অর্থ বিভাগ, এস্টেট বিভাগ, ওয়ান স্টপ সার্ভিস শাখা, আইএডি বিভাগ, উপ-পুলিশ কমিশনার, (স্পেশাল এ্যাকশন গ্রুপ) ও উপ-পুলিশ কমিশনার, (ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) দেরকে পুরস্কৃত করা হয়। এছাড়াও বিট পুলিশিং কার্যক্রম সংক্রান্তে ০৫ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে পুরস্কৃত করেন ডিএমপি কমিশনার।
এসময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মোঃ মনিরুল ইসলাম বিপিএম-বার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এ্যাডমিন) মীর রেজাউল আলম বিপিএম (বার), পিপিএম-বার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশনস্) কৃষ্ণ পদ রায় বিপিএম-বার, পিপিএম-বার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স এন্ড প্রকিউরমেন্ট) ড. এ এফ এম মাসুম রব্বানী, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) এ কে এম হাফিজ আক্তার বিপিএম-বার, অতিরিক্ত পুলিশ কশিনার (ট্রাফিক) মোঃ মুনিবুর রহমান, যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
- ডিএমপি নিউজ।